বিভিন্নভাবে দাঁতের অতিসংবেদশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। দাঁতের সাদা অংশ যা এনামেল নামে পরিচিত তা যদি ক্ষয় হয়ে যায় তখন দাঁতের ডেন্টিন বের হয়ে যায়। ডেন্টিন বের হয়ে গেলে দাঁত ধীরে ধীরে অতিসংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তখন খাবার গ্রহণ করার সময় দাঁত শিরশির করতে পারে।

  • দাঁতের অতিসংবেদনশীলতার কারণ:
    ক) জোরে জোরে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস থাকলে।
    খ) শক্ত টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত ক্ষয় হতে পারে।
    গ) পান সুপারি বিশেষ করে সুপারি বেশি চিবানোর অভ্যাস থাকলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যাবে।
    ঘ) রাতের বেলায় নিয়মিত ঘুমের মধ্যে দাঁত কামড়ানোর অভ্যাস থাকলে।
    ঙ) অ্যাসিডিক পানীয় এবং বেভারেজ জাতীয় খাদ্য দ্রব্য দাঁতের ক্ষয় করে থাকে। তখন দাঁত সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।
    চ) ভুল পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করলে গাম রিছেসন অর্থাৎ মাড়ি জায়গা থেকে সরে যায়। তখন দাঁত অতিসংবেদনশীল হয়ে উঠে।
    ছ) দীর্ঘ সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করলেও দাঁত অতিসংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।

দাঁতের অতিসংবেদনশীলতার কারণে ঠান্ডা অথবা গরম পানি অথবা পানীয় পান করার সময় দাঁত শিরশির করতে পারে। আবার খাবার গ্রহণের সময়ও দাঁত শিরশির করতে পারে। দাঁত শিরশির করার কারণে রোগী খুবই অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকে। মাঝে মাঝে অনেকের দাঁতে ব্যথা হয়। খাবার ঠিকভাবে খেতে পারে না। দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে ডেন্টিন বের হয়ে গেলে বাইরে থেকে ঠান্ডা অথবা গরম খাবার, ঠান্ডা বাতাস, ইত্যাদি উদ্দীপক অতি সহজেই দাঁতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে। তাই দাঁত শিরশির করে থাকে। দাঁত অতিসংবেদনশীল অথবা শিরশির করলে আমরা সাধারণত টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে দাঁতের শিরশির নিরাময়ের টুথপেস্টগুলো সাধারণ টুথপেস্ট থেকে আলাদা। কারণ এতে কিছু উপাদান থাকে যা দাঁতের শিরশির প্রতিরোধ করে।

লেখক : দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ইমপ্রেস ওরাল কেয়ার, ইব্রাহিমপুর, ঢাকা