টি.এম.মুনছুর হেলাল, সিরাজগন্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রূপসী-ঘাটাবাড়ি সড়কের ঘাটাবাড়ি এলাকায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মিত কংক্রিট ব্রীজটি বন্যার পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে। ফলে ওই এলাকার ৫ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ এখন চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় রূপসী, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর, পাকুরতলা ও কুঠিরপাড়া সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের পণ্যসামগ্রী পরিবহন ও চলাচল করতে হচ্ছে নৌকায়। স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, ২ বছর আগে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দীর্ঘ কংক্রিট ব্রীজটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়।

ফলে বর্ষার শুরুতেই সামান্য পানির চাপে ব্রীজের দু‘পাশের মাটি ধ্বসে যায়, এখন বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও হঠাৎ ব্রীজটির মাঝ বরাবর ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যায়। ব্রীজটি নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। এবিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, বন্যার পানির চাপে কিছুদিন আগে ব্রীজটির দু‘পাশের মাটি ধ্বসে যায়। এখন ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসির যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, বন্যার পানি সরে যাওয়ার সাথে সাথে এখানে নতুন করে ব্রীজ নির্মাণ করা না হলে বছরের পর বছর এলাকাবাসির যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে। এছাড়া এ সড়কের আরো দু‘টি স্থান বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গেছে, এ দু‘টি স্থানও দ্রুত সময়ের মধ্যে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করতে হবে।

এব্যাপারে জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি পিআইওকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার পানি সরে গেলে ওখানে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। তখন আর যাতায়াতে কোন সমস্যা থাকবে না। শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্রীজটি রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু বন্যার পানির চাপে শেষ রক্ষা হয়নি, তবে বন্যার পানি সরে গেলে এলাকাবাসির যাতায়াত স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।