হৃদয় শীল,মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের মধুখালীতে গাজনা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে  মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণ জয়ন্তী মেলার আজ শেষ দিন এবং  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ওপর আলোচনা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
মধুখালী উপজেলার গাজনাইউনিয়নের দেল মথুরাপুর গ্রামে অবস্থি দেউলকে ঘিরে দেউলের ইতিহাস কৃষ্টি বিশ্ব দরবারে উপস্থপনের  মাধ্যমে পরিচিতি তুলে ধরার লক্ষ্যে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ গ্রামীণ মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণ জয়ন্তী দেউল মেলা  এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবনীর ওপর  আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে দেউল চত্বরে  ।
মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণ জয়ন্তী মেলার আনুষ্ঠানিক  ২৭ মার্চ উদ্বোধন করা হয় । গাজনা ইউনিয়ন  পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে দেউল চত্বরে  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর  জীবনীর ওপর  আলোক পাত করে প্রধান অতিথির  বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম। মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী ।
 অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের  সাধারন সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক বকু,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ মুরাদুজ্জামান মুরাদ,মোরশেদা আক্তার মিনা,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, এ্যাড.আলী উজ্জামান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএম বাবুল আক্তার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন মিয়া, সাধারন সম্পাদক সুখেন মজুমদার,সহসভাপদি গোলাম ফারুক প্রমুখ।
আলোচনা পরবর্তী গুণিশিল্পদের পরিবেশনায় সাংস্কৃকিত  অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গভীর রাত পর্যন্ত  হাজার হাজার  নারী-পুরুষ  অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
কতিথ  আছে সপ্তদশ শতাব্দিতে সম্রাট আকবরের সময় তাঁর সেনাপ্রতি  রাজা মানসিংহ রায়  স্থানীয়  রাজা প্রতাপাদিত্য নারায়নকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। সে স্মৃতি ধরে রাখতেই প্রায় ৪শত বছর পূর্বে এই দেউল নির্মান করা হয় ।
তবে দেউল নিমার্ণের  প্রকৃত  তথ্য সবারই অজানা । দেউল ফরিদপুর জেলার এবং মধুখালী উপজেলার ঐতিহ্য  ধারন করে । সেটা দেশসহ বিশ্বে পরিচিতি তুলে ধরতেই  ৫দিনের এই মেলা এবং  মুক্তি উৎসব  ও সুর্বণ মেলা  এবং যার সৃষ্টিতে এই দেশের জন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর  জীবনীর ওপর আলোচনা আয়োজন।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য  ধারন করে প্রায় শতাধিক স্টল বসে । বেলা গড়তেই মেলা দর্শনার্থী বারতে থাকে । প্রায় ৪শ বৎসর ঐতিহ্য দেউল সহ মেলা প্রাঙ্গণ বর্ণিল সাঝে  সাঝানো হয়।  রাতের আলোর ঝলকানীতে চোখ  ঝলকানী দেয় মেলা দর্শনার্থীদের।
৫ দিনের এই বর্ণীল মেলার  আজ ৩১ মার্চ  বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে।  স্থানীয় সুধিজনদের  প্রত্যাশা  প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন অব্যাহত  থাকবে।