জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান দিবস ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস- ২০২০

হুমায়ুন কবির সবুজঃ- 

বিন্দু ফাউন্ডেশন  

ফেসবুক পেইজ 

রক্তদান হল কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেবার প্রক্রিয়া। নানা অসুখ-বিসুখ কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে অনেকেরই রক্তের প্রয়োজন হয়। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে যারা পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিশুদ্ধ রক্ত সংগ্রহ করে যাদের প্রয়োজন তাদের দান করে। রেড ক্রস সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাস থাকে। এ কারণে ৩ মাস আগের সঙ্গে বর্তমানের লোহিতকণিকা এক হবে না। রক্তদান করলেই শরীরে রক্তের ঘাটতি দেখা দেবে এমন ভাবা ঠিক নয়। বরং রক্তদান করলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-

👉 প্রথম এবং প্রধান কারণ, একজনের দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবে।
রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকার জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।

👉 ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়।

👉 রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
যারা বছরে দুই বার রক্ত দেয়, অন্যদের তুলনায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। চার বছর ধরে ১২০০ লোকের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছিলো।

👉 স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা তা বিনা খরচে জানা যায়। যেমন: হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।

👉প্রতি একবার রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

👉রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’

#নিজের_রক্তদানের_ছবি_হোক_প্রোফাইল_পিক

সুপার ম্যানকে আমরা হিরো বলি কেন? কারন সে মানুষের জন্য কাজ করছে। একজন রক্তদাতাও তেমনি মানুষকে বাঁচাচ্ছে। হিরো কে হিরো হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে তো। তা না হলে সবে ১৮ বছরে পা দেয়া ছেলে/মেয়েটি বুঝবে কিভাবে এর গুরুত্ব?

আবারো বলছি, রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করা এবং হিরো কে হিরো হিসাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া এই পোস্টের উদ্দেশ্য। রক্তদাতারা সব কিছুর উপরে। ধন্যবাদ।