সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ও সনদ ছাড়াই একই পরিবারের ৪ সদস্য নামের আগে ডা. ব্যবহার করে বিভিন্ন ‘জটিল রোগের চিকিৎসা’ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন রনজিৎ শর্ম্মাধিকারী, অনিতা রানী শর্ম্মাধিকারী, প্রনব শর্ম্মাধিকারী ও সুমিতা রানী শর্ম্মাধিকারী। অভিযোগের সত্যতা মেলায় তাদের ২০বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোজ রোববার (৭ আগস্ট) সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে প্রতিষ্ঠানটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় প্রতারণার দায়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালানো হবে না বলে মুচলেকা দেন কথিত চিকিৎসক।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজুল সালেহীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা. সাইফুল ইসলাম শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের সমতা সিনেমা হলের শর্ম্মা মেডিক্যাল হলে ওই চারজন নিজেদের চিকিৎসক দাবি করে অর্শ, গেজ, ওরিশ ও ভগন্দরসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা করে আসছেন। রায়পুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় তাদের আরও একটি চেম্বার রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রি ও সনদ না থাকলেও তারা বিভিন্ন সময় রোগীদের অপারেশনও করিয়েছেন। তাদের নামের পাশে লেখা ডিগ্রিগুলো চিকিৎসা বিজ্ঞানে নেই। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে সুমিতা রানী নামের পাশে বিভিন্ন ডিগ্রি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা. সাইফুল ইসলাম শরীফ বলেন, এমবিবিএইচ ডিগ্রি ছাড়া কেউ নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতে পারে না। তারা নামের আগেও ডা. লিখতে পারবে না। অভিযুক্তরা যেসব রোগে চিকিৎসা দিয়ে এসেছেন, তা তারা করতে পারবেন না। কারণ তাদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির বলেন, শর্ম্মা মেডিকেল হলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। এতে অভিযান চালিয়ে সত্যতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা যেন প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে না পারেন, সেদিকে নজরদারি থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ইং সালে র‍্যাব-১১ ও প্রশাসনের যৌথ অভিযানে একই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে অদৃশ্য বলয়ে ফের প্রতিষ্ঠান চালু করে ওই ৪ চিকিৎসক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।