তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ১৬ জন আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ও ২৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বোয়ালমারীর ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র সাতৈর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা অওয়ামী লীগের  কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এলেম শেখ এবং বোয়ালমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আব্দুল হক শেখ।
ঘোষপুর ইউনিয়নে  বিদ্রোহী প্রার্থী হযেছেন ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মো. চান মিয়া এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. ইমরান হোসেন।
দাদপুর ইউনিয়নে  বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশিদ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন ।
রূপাপাত ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেমায়েত হোসেন ও ইউপি যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. রবিউল শেখ।
 চতুল ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন  উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম।
পরমশ্বেরদী ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মান্নান মাতুব্বর ।
শেখর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন  উপজেলা আওয়ামী লীগের  সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
গুনবহা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
 ময়না ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মো. সেলিম,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সাইফুজ্জামান জিন্নাহ ।
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার যুক্তি তুলে ধরে দাদপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম মোল্লা বলেন, আট বছর বয়স থেকে আওয়ামী লীগ পছন্দ করি। আমরা ১১ জন প্রার্থী ছিলাম। সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই করে কাউকে দিলে কোন আফসোস ছিল না। কিন্তু তা করা হয়নি। তিনি বলেন, গতবার আমি দলীয় প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হারানো হয়ছে। তিনি বলেন, যে ব্যাক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার কোন জনপ্রয়িতা নেই, তার লোকজনও নেই, নির্বাচন করতে হলে তাকে টাকা দিয়ে এজেন্ট কিনতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ্ পিকুল বলেন, শনিবার (২৭ নভেম্বর) বর্ধিত সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে অনুরোধ করা হবে। যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে না তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 তফসিল অনুযায়ী, চর্তুথ ধাপের নির্বাচন
প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৯ নভেম্বর। প্রার্থীদের প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর এবং ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।