

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করোতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরো আটজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ জনে। সোমবার (২৬ সেপ্টম্বের) বিকেলে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৪৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
বাকিদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোলেমান আলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। স্বজনদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী এখনও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ পরিচালক শেখ মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘সকাল থেকে পঞ্চগড় এবং আশপাশের জেলার আটটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে। এর বাইরে রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং রাজশাহী থেকে তিনটি ডুবুড়ি দলে মোট ৯ জন ডুবুরি উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছেন। ’
আওলিয়ার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মর্মান্তিক এই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজের স্বজনরা সোমবার ভোর থেকেই ঘটনাস্থল করতোয়ার আওলিয়ার ঘাট ও এর আশপাশে ভিড় করেন। একটি লাশ উদ্ধার হলেই নিজের স্বজনদের পরিচয় শনাক্তে সবাই ছুটে যাচ্ছেন। পরিচিত না হলে আবারো লাশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন স্বজনরা। স্থানীয় অনেকে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে মৃতদেহ উদ্ধারে নেমে পড়েছেন।
এর আগে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটের কাছে শতাধিক যাত্রী নিয়ে করতোয়া নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটির যাত্রীরা মহালয়া পূজা উপলক্ষে দেবীগঞ্জ উপজেলার বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। ওই দিনই ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাটি তদন্ত করতে রাতে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীপংকর রায়কে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ডেইলি কলমকথার সকল নিউজ সবার আগে পেতে গুগল নিউজ ফিড ফলো করুন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।