দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শামীম ডায়ানস্টিক সেন্টারে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার কারণে অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
ডাক্তার একজন রোগীকে এক্সরে করার পরামর্শ দিয়েছেন কিন্তু নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে শামীম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ওই রোগীকে আলটাসানোগ্ৰাম করে দেয়া হয়।ফলে একদিকে রোগীরা আর্থিক ক্ষতি ও অপর দিকে ভুল চিকিৎসায় প্রতারিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য ইতোপূর্বেও ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগীদের নানা ভাবে প্রতারিত করা হয়েছে এবং ভুল / অপচিকিৎসার ফাঁদে ফেলিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জন করা হয়েছে বলেও রেকর্ড রয়েছে।যেমন নবাবগঞ্জে জাল সাক্ষর করে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের অভিযোগ।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার হাসপাতাল এর সামনে অবস্থিত শামীম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জাল সাক্ষর করে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও সনদ প্রদান করছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেকনোলজিষ্ট হিসেবে একজন কর্মরত ছিলো দীর্ঘ দিন ধরে।মালিক পক্ষ তাকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে কাজ করার চাপ সৃষ্টি করলে তিনি কাজ ছেড়ে দেন। এমনঅবস্থায় তিনি দেড় মাস ধরে বাসায় বসে ছিলেন ।তিনি নবাবগঞ্জ হাসপাতাল মোড়ে একদিন ওষুধ কিনতে গিয়ে একজনের হাতে একটি রক্তেরগ্রুপ নির্ণয় রিপোর্ট দেখতে পান। সেই রিপোর্ট এ দেখতে পান তার সিল ও সাক্ষর রয়েছে। রিপোর্টিতে তিনি দেখেন শামিম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১৩/০৬/২২ এ করা রিপোর্ট ।
অভিযোগকারী জানান, শামীম ডায়াগনস্টিকে যে কোন ব্যক্তির দ্বারা উক্ত রিপোর্ট তৈরি করে আমার জাল সাক্ষর করা হচ্ছে। যাহা একটি গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
এমনিভাবে নবাবগঞ্জ শামীম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে উপর্যপরি দুর্নীতি অনিয়ম ও প্রতারণার ব্যবসা অব্যাহত রাখায় অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার ক্ষতিরগ্ৰস্থ হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহন করা জরুরি বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।