
ডেস্ক:
তবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মারুফুল ইসলাম মারুফের মনোয়নপত্র বাতিল স্থগিতাদেশের চিঠি জেলা নির্বাচন অফিসে নির্ধারিত সময়ে না আসায় তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর।
সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নৌকার প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশের পক্ষে প্রতীক নেন জেলা পরিষদের সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। এদিকে, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ৫২ কাউন্সিলর প্রার্থী। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতীক পেয়েছেন ১৩ কাউন্সিলর প্রার্থী।
সাধারণ ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমেছেন চার কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে সাহিদুর রহমান পাঞ্জামী, জাকির হোসেন রাজিব উটপাখি, জাহাঙ্গীর আহমেদ শাকিল গাজর ও টিপু সুলতান পানির বোতল প্রতীক পেয়েছেন।
২নং ওয়ার্ডে প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন সাত কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে শেখ রাশেদ আব্বাস রাজ পেয়েছেন পানির বোতল, মীর মোশাররফ হোসেন পাঞ্জাবী, শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ ডালিম, জাহিদুল ইসলাম উটপাখি, তপন কুমার ঘোষ টেবিল ল্যাম্প, অনুব্রত সাহা ব্রিজ ও ওসমানুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন গাজর প্রতীক।
৩নং ওয়ার্ডে ছয় প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শেখ মোকছিমুল বারী পেয়েছেন গাজর প্রতীক, দেলোয়ার হোসেন টিটো ব্রিজ, উম্মে মাকসুদা মাসু টেবিল ল্যাম্প, ওমর ফারুক ডালিম, শফিকুল ইসলাম পানির বোতল ও সাব্বির মালিক পেয়েছেন উটপাখি।
৪নং ওয়ার্ডে প্রতীক পেয়েছেন তিন কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে জাহিদ হোসেন মিলন পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প, মঈন উদ্দিন উটপাখি ও মুস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন পানির বোতল।

৬নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে আলমগীর কবির সুমন পেয়েছেন পাঞ্জাবী, আজাহার হোসেন স্বপন টেবিল ল্যাম্প, আনিসুজ্জামান ব্রিজ, আশরাফুজ্জামান পানির বোতল ও আশরাফুল হাসান পেয়েছেন উটপাখি।
৭নং ওয়ার্ডে আট কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা উটপাখি, শামসুদ্দিন বাবু পাঞ্জাবী, জুলফিকার আলী পানির বোতল, শাহেদ উর রহমান রনি টেবিল ল্যাম্প, শাহেদ হোসেন নয়ন ব্লাকবোর্ড, আবু শাহজালাল ডালিম, কামাল হোসেন ব্রিজ ও রবিউল ইসলাম রবি গাজর প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচারে নেমেছেন।
৮নং ওয়ার্ডে চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সন্দোষ দত্ত পেয়েছেন ব্রিজ, মনিরুজ্জামান মাসুম ডালিম, প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু উটপাখি ও ওবাইদুল ইসলাম রাকিব পেয়েছেন টেবিল ল্যাম্প।
৯নং ওয়ার্ডে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন আট কাউন্সিলর প্রার্থী। এদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম ব্রিজ, শেখ নাসিম উদ্দীন পলাশ ডালিম, শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ টেবিল ল্যাম্প, শেখ শহীদ পাঞ্জাবী, খন্দকার মারুফ হোসাইন গাজর, আসাদুজ্জামান পানির বোতল, স্বপন কুমার ধর উটপাখি ও আবু বক্কার সিদ্দিক ব্লাকবোর্ড মার্কা নিয়ে ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে নয় প্রার্থীর মধ্যে আয়েশা ছিদ্দিকা পেয়েছেন আংটি, আইরন পারভীন চশমা, সুফয়া বেগম কলস, রেহেনা পারভীন হারমোনিয়াম, রুমা আক্তার অটোরিকশা, সান-ই-শাকিলা আফরোজ আনারস, অর্চনা অধিকারী দ্বিতল বাস, সেলিনা খাতুন জবা ফুল ও রোকেয়া বেগম পেয়েছেন টেলিফোন প্রতীক। ২নং ওয়ার্ডে নাসিমা আক্তার জলি আনারস ও নাছিমা সুলতানা চশমা, ৩নং ওয়ার্ডে শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি আনারস ও সালমা আক্তার রানী চশমা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকতা হুমায়ুন কবীর বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে নির্ধারিত নির্বাচনী ক্যাম্পে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং করতে পারবেন। কেউ যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন না ঘটায় সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।