
মেলান্দহ প্রতিনিধিঃ জামালপুরের মেলান্দহ সহকারী জজ আদালতের ১৪৩/১৯ তারিখে বিজ্ঞ আদালত করা মামলার সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক সঠিক চিত্র তুলে বিচারকি কাজকে সহজ করার জন্য আদেশ প্রদানের জের ধরে ৪/৯/২১ তারিখে উক্ত বিবাদমান ভূমিতে আসেন জামালপুর দায়রা জজ আদালতের সিসি কমিশনার মো: আলতাফুর রহমান।
এই মামলায় উৎকুষ গ্রহনকরে সত্যকে চাপা দিয়ে কমিশনারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ করছেন ভোক্তভোগী বিবাদী ও এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার ইন্দ্রবাড়ি মৌজার ২৭৪,২৭৫ ও ২৭৭ নং দাগের পূর্বপাশে ৫০০ ফুট লম্বা কাঁচা রাস্তা তৈয়ারি ও গাছ লাগানো হয়েছে।ফলে বাদি-বিবাদি শাহাবদ্দিন গং ও আনিছুর গংদের মাঝে মামলা চলমান।
বাদী শাহাবদ্দিনের দাবি রাস্তাটি নালিশী ভূমির মধ্যে। আনিছুর গংদের দাবি রাস্তাটি অন্য দাগে । এই নিয়ে আদালত কর্তৃক রিটের একটি আদেশে জামালপুর জজ কোর্টের সি.সি.কমিশনার আলতাফুর রহমানকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন বিজ্ঞ আদালত।
সি.সি কমিশনার আলতাফুর রহমান ৪-৯-২১ তারিখে সরেজমিনে এসে এলাকার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জায়গা পরিমাপ করিলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয় রাস্তাটি নালিশী ভূমির মধ্যে নয়।কমিশনার প্রতিবেদনে বলেন,বিবাদী পক্ষের মারমূখি আচারনে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারি নাই।ফলে রাস্তাটি কোন দাগে তা নির্ণয় করা যায়নি।
কমিশনারের এমন প্রতিবেদনে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।পশ্চিম ঝাউগড়া এলাকার মৃত মোতালেবের পুত্র শহিদুল্লাহ বলেন,ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পদক সহ এলকার প্রায় ৫ শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে জায়গা মাপ ঝোক দিলে দেখা যায় রাস্তাটি নালিশী ভূমির মধ্যে নয় বরং রাস্তার পাশে থাকা গাছসহ বিবাদীর পৈত্রিক ভুমিতে ।
ভুমি পরিমাপ ও নালিশী ভূমির সঠিক অবস্থা নিরুপণের ঘটনার দিন কোন পক্ষের লোকজন মারমূখি আচারণ এবং উত্তেজিত গালিগালাজে লিপ্ত হয়নি। তবে কমিশনারের এমন প্রতিবেদনে ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে সহায়তা করছে বলে জানান এলাকাবাসী ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।