মাসুদ রানা লেমন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ রব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হলো শারদীয় দুর্গাপূজা।

দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দূর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে। এরই ধারাহিকতায় সনাতনধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপন করেন। আগামী সোমবার (১১ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে শারদীয় দূর্গাপুজা। এ উপলক্ষে রাণীশংকৈল উপজেলার প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃতশিল্পীরা।

কাশফোটা শিউলি শরতের এই শারদীয় দূর্গাপুজা উৎসব, আর এই উৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে দূর্গাপুজার প্রস্তুতি। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু ধর্মের নারী-পুরুষ সব বয়সী মানুষ শারদীয় দূর্গাপুজাকে স্বার্থক করতে এখন প্রহর গুনছেন। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুুতি চলছে প্রতিটি পূজামন্ডপে।

রাণীশংকৈল উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও খড় দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। আবার কোথাও শিল্পীর সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় কৃত্রিম জীবন পাচ্ছেন মা দূর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিব মূর্তি। কোনো কোনো মূর্তিতে পরানো হয়েছে শাড়ি, হাতের বালাসহ অন্যান্য গয়না।

দেবী দূর্গা আগমন হবে ঘোড়ায় আর প্রস্হান হবে দোলায় চড়ে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় আছেন। সনাতন ধর্মালবম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দূর্গা উৎসব। রাণীশংকৈল উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন বসাক বলেন, এবছর উপজেলায় ৫৪ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।