ফরিদপুর চরভদ্রাসন প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছবুল্ল্যা মাতুব্বের ডাঙ্গী গ্রামের শেখ আবদুল্লা এর কাতার দেশে অবস্থানরত প্রবাসী ছেলে সুমন (২৫) প্রেমিকার সাথে অভিমান করে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার রাত ২ টায় মারা গেছে।

এর তিন দিন আগে উক্ত কাতার প্রবাসী প্রেমিক দোহার উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামে বসবাসরত তার প্রেমিকা মিতু আক্তার (১৮) এর সাথে ভিডিও কলে কথোপকথন চলাকালে অভিমান করে দৃশ্যমান অবস্থায় নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়।পরে অগ্নিদগ্ধ প্রবাসী প্রেমিককে মুমূর্ষ অবস্থায় কাতার দেশের হামাদী হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রাখা হয় এবং তিনদিন পরে প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় চার বছর আগে সুমন কার্পেন্টারের কাজ শিখে কাতার দেশে চাকুরীতে যায়। গত এক বছর ধরে উক্ত কাতারপ্রবাসী দোহার উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের মিতু আক্তার নামক এক তরুনীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে।কাতার প্রবাসী উপজেলায় তার অভিভাবকদের উক্ত তরুনীর সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করতে বারবার অনুরোধ করেন এবং কনেকে আংটি পড়ানো সহ বিয়ের প্রাথমিক কাজ সম্পাদনের জন্য কয়েক দফায় টাকাও পাঠান।

মঙ্গলবার প্রবাসী প্রেমিকের এক চাচা জানান, সম্প্রতি ওই প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে।এই খবর পেয়ে প্রবাসী প্রেমিক ক্ষোভে-অনুরাগে ফেটে পড়েন।সে কাতার দেশের একটি পাম্প থেকে 5 লিটার পেট্রোল এনে ওই দেশের একটি খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রেমিকাকে ভিডিও কল করে নিজের শরীরে পেট্রোল ঢালতে থাকে এবং ‘তোদের জ্বালা-যন্ত্রণা আর সইবো না’ বলে চিৎকার করতে থাকে।পরে হাত উঁচু করে একটি গ্যাস লাইটের আগুন জালানো মাত্রই তার সারা শরীরে আগুন ধরে যায়।

প্রেমিকের অগ্নিদগ্ধ অবস্থা প্রায় আড়াই মিনিট ভিডিও কলে দৃশ্যমান থাকার পর প্রবাসীর কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি বিকট শব্দে ব্লাস্ট হয়ে যায়।পরে প্রেমিকা মিতু আক্তার প্রবাসীর অভিভাবকদের কাছে ফোন করে বিষয়টি জানান দেন।এরপর অনেক চেষ্টা করেও সুমন কে বাঁচানো সম্ভব হয় নেই বলে।তার পরিবার জানান।