ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক ব্যক্তি এবং সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতায় আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি দেশের অন্যান্যস্থানের সঙ্গে শৈলকুপা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কল্লোল খন্দকারের (৩৬) মৃত্যু হয়। আর নির্বাচনের আগে গত ২৩ ডিসেম্বর সহিংসতায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন আব্দুর রহিম (৬০)। তারও শনিবার (৮ জানুয়ারি) মৃত্যু হয়।
শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহাসিন আলী জানান, উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া মাঠে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সমর্থক কৃষক কল্লোল খন্দকার মাঠে পেঁয়াজ লাগাতে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কল্লোল বগুড়া গ্রামের আকবর খন্দকারের ছেলে।
এদিকে, উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত ২৩ ডিসেম্বর কাতলাগাড়ি বাজারে নৌকার সমর্থক আব্দুর রহিমকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন কুপিয়ে জখম করে।
প্রথমে তাকে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) তার মৃত্যু হয়।
সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় এ পর্যন্ত চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।