
চলতি বছর ৪-৫ গুণ বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে সমুদ্রে
চলতি বছর ৪-৫ গুণ বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে সমুদ্রে

টানা ৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩শে জুলাই মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর গত বছর যে পরিমাণ মাছ উঠেছিল এবারে তার থেকে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি ইলিশ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
বেশিরভাগ মাছের আকার বড়, ওজনেও বেশি। কুয়াকাটার মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলে হালিম শিকদার জানিয়েছেন, গত বছরের নিষেধাজ্ঞার পর যেখানে তারা এক সপ্তাহে তারা পাঁচ থেকে সাত মন ইলিশ তুলেছিলেন। এবার তারা একই সময়ে মাছ তুলছেন ২০ থেকে ২৫ মন। অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।
জালভর্তি মাছ পেয়ে খুশি হালিম শিকদার। তিনি বলেন, সাগরে সাত দিন পাঁচদিন থাকলে ২০ মন, ২৫ মন, ৩০ মন মাছ পাওয়া যায়। চার লক্ষ, পাঁচ লক্ষ টাকার মাছ ধরেন। আগে তো মাছ ছিল না। এখন তো গেলে কিছুটা মাছ হয়। একবার জাল বাইরে কোনদিন হাজার বারোশ মাছও উঠছে। ইলিশের সাইজও ভালো।
এ বছর বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত খুব কম হওয়ায় ধারণা করা হয়েছিল মাছের উৎপাদন কম হবে। কিন্তু ট্রলার ভর্তি করে মাছ আসায় খুশি আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে এবং জালে ৮০০ গ্রাম থেকে শুরু করে দেড় কেজি এমনকি দুই কেজি ওজনের মাঝ উঠছে বলে জানান মহিপুরের মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা।
তিনি বলেন, যে মাছটা ৭০০ গ্রাম ছিল, সেটা সময় পেয়ে এক কেজি ওজনের হয়েছে, পুষ্টি হয়ে বড় হয়েছে। একটা ট্রলারে যদি ২০ মন মাছ ধরে। বন্দরে যদি ২শ ট্রলার ওঠে তাহলে চার হাজার মন মাছ হয়ে যায়। এখন এমনই চলতেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশের সমুদ্র-সীমায় ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা ঠেকানো এই ইলিশ বেশি ধরা পড়ার বড় কারণ।

ডেইলি কলমকথার সকল নিউজ সবার আগে পেতে গুগল নিউজ ফিড ফলো করুন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।