মানিক হোসেন, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ওয়াইফাই সংযোগ এতটাই দুর্বল হয়েছে অনলাইন ক্লাস সম্ভব হচ্ছে না। গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাসের বিষয়টি তুলে ধরেন।

যেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলোর ওয়াই-ফাই কানেকশনের দূরাবস্থার কথা আক্ষেপের সাথে উঠে আসে। কমেন্টে বেশ কিছু হল থেকে শিক্ষার্থীরা জানান, এক রাউটার এর সামনে দাঁড়িয়ে জয়েন করার চেষ্টা করলেও জুম এ্যাপে যুক্ত হওয়া মুশকিল।

ওয়াইফাই এর অবস্থা খুব খারাপ, রাউটার বিশাল বিশাল ব্লকের জন্য মাত্র একটা করে।মাঝে মাঝে এমন হয় যে,রাউটারের ভিতর ঢুকে গেলেও কানেকশন পায় না। রুম এর সামনে রাউটার তাও নেট চালাইতে পারিনা , এটাই রোকেয়া হল। খুব খুব খুব বাজে অবস্থা হলের ওয়াইফাইর।

মাদার বক্স হল থেকে বলছি। অনলাইন ক্লাস করা যাচ্ছে না ভাই।

নবাব আব্দুল লতিফ হল।
ক্লাস করতে অনেক সমস্যা হয়।

ওয়াইফাই থাকা সত্তেও প্রতিনিয়ত মোবাইল ডাটা কিনে ক্লাস করতে হয়।

রহমতুন্নেসা, ওয়াইফাই না ছাই।
চেষ্টা করেছি অনেকবার হয় না
তাই পরে ডাটা কিনে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছি বৎস।

চার-ছয়তলায় ওয়াইফাইই নাই
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল।
এস এম হলে পাশাপাশি দুইটা রাউটার প্রায় ৩ মাস ধরে নষ্ট, আজও ঠিক হয়নি।
ওয়াইফাই তো নাই ই তার উপর টাকা দিয়ে এমবি কিনেও চলে না-মন্নুজান হল।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল- চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠতলায় কোনো ধরনের ওয়াইফাই ব্যবস্থা নেই। মানে কোনো রাউটার নেই।
একজন শিক্ষার্থী জানান,
এ ব্যাপারে প্রভোস্ট ও ভিসি স্যারের কাছে যাওয়া হয়েছিল আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা মেলেনি।

প্রতিদিন ৫০০/৭০০ এমবি খরচ করে অনলাইন ক্লাস করতে হয় এছাড়াও অন্যান্য কাজে তো আছে। এই যে কমেন্টটা লিখছি, এটাও এমবি কিনে। তারপর ওয়াইফাই স্পিড যেমন ই হোক, কথা হইলো ভিপিএন ছাড়া জুমে জয়েন করতে পারিনা।

যে স্পিড তাতে আবার ভিপিএন কানেক্ট করলে খুঁজে পাওয়া যায়না ঠিকমতো।
রাবি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক এম বাবুল ইসলাম নিউ বলেন , ধীরগতির ইন্টারনেটের প্রধান কারণ ব্যবহার কারীর সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের প্রতিটি আবাসিক হলে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা আমাদের পক্ষে খুব কঠিন । আমরা বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের কাছে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।