শর্তে জুড়ে দিয়ে স্নাতক শ্রেণীর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের বিরুদ্ধে অবস্থান থেকে সরে আসলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। শনিবার (১১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানূর রহমান। এর আগে গুচ্ছে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ভর্তি পরীক্ষার কোন কাজে অংশগ্রহণ করবেন না বলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

জানা যায়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাবি, রাবি, চবি ও বাংলাদেশ প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি (বিইউপি) সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছের আওতায় আনা, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আয়ের যাবতীয় হিসাব পেশ, আবেদনের যোগ্যতার ভিত্তিতে সকল ভর্তিচ্ছু কে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ প্রদান, আগামী বছর থেকে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ইবিকে নেতৃত্ব প্রদান, জটিলতা ও ভোগান্তি দূরীকরণসহ ইবি শিক্ষক সমিতি কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জুলাই থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাববর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। গতবারের ন্যায় এবারও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করবে।

এদিকে গত ৩ এপ্রিল গুচ্ছের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। গুচ্ছে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কাজে অংশগ্রহণ করবেনা বলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা। এ নিয়ে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম শিক্ষক সমিতির সাথে কয়েক দফায় আলোচনায় বসলেও তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। অবশেষে গত ৩১ মে ৭/৮টি শর্ত জুড়ে দিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ১৫৬ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানূর রহমান বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো গুচ্ছের পক্ষে থাকার কারণে ৭/৮টি শর্ত জুড়ে দিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব শর্ত উপেক্ষিত হলে আগামী বছর গুচ্ছে যাব না।