এস এম তাজাম্মুল, মনিরামপুরঃ শারীরিকভাবে জন্ম নেওয়া প্রতিবন্ধী লিতুন জিরা একের পর এক পুরষ্কার লাভের মধ্য দিয়ে প্রমান করে চলেছে যে মেধা বিকাশের জন্য প্রতিবন্ধকতা কিছুই না।

প্রয়োজন শুধু নিজের প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার।
যশোরে মণিরামপুর উপজেলার ১৩নং খানপুর ইউনিয়নের সাতনল গ্রামে পরিপূর্ণ হাত-পা ছাড়াই জন্মগ্রহন করে লিতুন জিরা।

সেই লিতুন জিরা মেধা বিকাশের অংশ হিসেবে মুখের সাহায্যে লিখে রচনা প্রতিযোগিতায় এবার জেলা পর্যায়ে পুরস্কার লাভ করেছে। সে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস, জাতীয় শিশু দিবসের রচনা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায় তৃতীয় স্থান লাভ করে। মেধাবী লিতুন জিরা উপজেলার খানপুর সাতনল গ্রামের হাবিবুর রহমান এবং জাহানারা বেগমের একমাত্র কন্যা।

এর আগে ২০২০ সালে সাতনল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সে জিপিএ ৫ এবং বৃত্তি লাভ করে। বর্তমানে প্রতিবন্ধী লিতুন জিরা উপজেলার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। মেধাবী লিতুন জিরাকে নিয়ে ইতিপূর্বে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরই অংশ হিসেবে ওই সময় মেধা পুরস্কারসহ অনুদান সামগ্রী প্রদান করতে লিতুন জিরার মণিরামপুরের বাড়িতে আসেন বসুন্ধরা গ্র“পের কর্মকর্তারা।

জানা যায়, গতকাল বুধবার যশোর জেলা গণগ্রন্থাগারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে লিতুন জিরার হাতে উক্ত পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম খান, এম এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভূগোল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কার্ত্তিক চন্দ্র রায়, গণগ্রন্থাগারের কর্মকর্তা মমতাজ বেগম প্রমুখ।