প্রত্যেকটি মাংসপেশির শক্তি নিরূপণের জন্য রয়েছে এক ধরনের গ্রেডিং যার নাম অক্সফোর্ড স্কেল। এই স্কেলে ০ (শূন্য) থেকে ৫ (পাঁচ) পর্যন্ত গ্রেডিং রয়েছে। গ্রেডিং যদি পাঁচ হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে মাংসপেশিতে শক্তি ঠিক রয়েছে। গ্রেডিং পাঁচ থেকে কম হলে অবস্থাভেদে মাংসপেশির বিভিন্নরকম সমস্যা রয়েছে বুঝতে হবে।
আবার প্রত্যেকটি মাংসপেশির নির্দিষ্ট শুরু এবং শেষ রয়েছে মানে নির্দিষ্ট একটি মাংসপেশি কোথা থেকে শুরু হলো এবং কোথায় গিয়ে শেষ হলো। সাধারণত প্রত্যেকটি মাংসপেশিই এক একটা হাড়ের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে শুরু হয় আবার একই হাড়ের অন্য নির্দিষ্ট জায়গায় বা অন্য কোনো হাড়ে এসে শেষ হয়। মাংসপেশির মধ্যে আবার ছোট-বড়ও রয়েছে। কিছু মাংসপেশি অনেক লম্বা, আবার কিছু মাংসপেশি অনেক ছোট। বেশ কিছু মাংসপেশি অনেক চ্যাপ্টা আকৃতির, আবার কিছু একদম সরু।
মাংসপেশির ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যেমন – কোনো কারণে মাংসপেশির শক্তি কমে গেলে, অতিরিক্ত কাজ কিংবা অতিরিক্ত ট্রেনিং করলে এনডুরেন্স পাওয়ার কমে যাওয়ার কারণে ব্যথা হয়। মাস্ল্ ক্রাম্প বা কোনো কারণে মাংসপেশিতে খিঁচুনি হলে, মাংসপেশিতে ব্রুইজিং বা থেঁতলে গেলে, মাংসপেশিতে টান পড়লে বা কোনো আঘাতের কারণে যদি মাংসপেশি ছিঁড়ে গেলে, বিভিন্নরকম বাতরোগের কারণেও ব্যথা হয়। মাংসপেশির ব্যথার মেয়াদ অনুযায়ী এবং কারণ অনুযায়ী চিকিৎসাও ভিন্ন ভিন্ন। হঠাৎ মাংসপেশিতে ব্যথা হলে রোগীরা ঘরেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন।
লেখক: চিফ কনসালটেন্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।