এক দশকের মধ্যে ইসরাইলের কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাফতালি বেনেট প্রথম সরকারি সফরে মিসর গেছেন। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্ক এবং দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেছেন বেনেট। খবর রয়টার্সের। কট্টর-ডানপন্থি দলের প্রধান বেনেট গত জুনে ইসরাইলের ক্ষমতায় আসার পর গত মাসে তাকে মিসর সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সিসি। মিসরের লোহিত সাগরের পাড়ে অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল শেখে সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেনেট। মিসরের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, বৈঠকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবত করার চেষ্টা এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালেই ভেঙে গিয়েছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সেই আলোচনা আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনেট স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধী। কূটনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় স্থান পায় মূলত গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি। গাজায় গত মে মাসে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যকার ১১ দিনের লড়াই বন্ধে মিসরই মধ্যস্থতা করেছিল। গাজা প্রসঙ্গ ছাড়াও নাফতালি বেনেট ও আল সিসির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব এবং লেবানন সংকটের মতো আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা। বেনেটের এই মিসর সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরিবহণ সংযোগও গতি পাবে।

অক্টোবর থেকে কায়রো এবং তেলআবিবের মধ্যে ইজিপ্ট এয়ারের ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন মিসরের বিমান সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ১৯৭৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে প্রথম কোনো আরব দেশ হিসেবে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছিল মিসর। গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে চারটি আরব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তিচুক্তি করার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থাপনে মধ্যস্থতা করে মিসর আবার এ অঞ্চলে কূটনৈতিক ভূমিকায় ফিরেছে। মিসরের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রয়াত হোসনি মোবারকের সঙ্গে ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১১ সালের জানুয়ারিতে।