পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় পাকিস্তান। তবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেটা সম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে শেহবাজ শরীফ বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। তবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তের দুই প্রান্তেই দারিদ্র্য আছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিষয়টি বোঝার জন্য বলব। জম্মু-কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য আমি মোদিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এবং তার পরে আমরা একযোগে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করব।

এদিকে সোমবারই পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি ।ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে এক যুগান্তকারী অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেন বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউন এক্সপ্রেস জানিয়েছে।

সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজরানি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির অনুপস্থিতিতেই শেহবাজকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ১৭৪ জন সদস্য শেহবার শরীফের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে কেউ ভোট দেননি কেউ।

এই ১৭৪ জন সদস্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়।

এদিকে শেহবাজ শরীফের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের কো চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ কোরেশির। কিন্তু অধিবেশন শুরু হওয়ার পর কোরেশি ঘোষণা দেন পিটিআইয়ের সব সদস্য পদত্যাগ করবেন।

তার এ ঘোষণার পর পিটিআইয়ের সকল সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরিও বের হয়ে যান।

এর ফলে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেহবাজ শরীফ নির্বাচিত হয়ে যান।

কাসেম সুরি বের হয়ে যাওয়ার পর স্পিকারের দায়িত্ব নেন মুসলিম লিগ-এন এর নেতা আয়াজ সাদিক। তিনি স্পিকারের চেয়ারে বসেই ভোটাভুটির কার্যক্রম শুরু করেন।

তিনি জানান যারা শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রী চান তারা ডান দিকে যান। আর যারা কোরেশিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে চান তারা বাঁ দিকে যান।