ইয়েমেনে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে হুতি বিদ্রোহীদের চলমান সহিংসতায় চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৪৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ছাড়া চলমান এ যুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাত বছরে ১০ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ইউনিসেফ জানায়, শিশুরা ইয়েমেন কিংবা আফগানিস্তান হোক আর যে দেশেরই হোক না কেন, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সহায়তারও প্রয়োজন। যেন শিশুদের আমরা বাঁচাতে পারি। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ যেন নিশ্চিত করতে পারি।
এ বছর ধাপে ধাপে বেড়েই চলেছে সংঘর্ষ। এতে শিশুরাই প্রথম ও প্রধান ভুক্তভোগী হচ্ছে। ২০১৪ সালে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকাই দখলে নিয়ে নেয়। এরপর থেকেই সৌদি আরব সমর্থিত হাদি সরকারের সঙ্গে হুতি বিদ্রোহীদের গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। এ অবস্থায় চলমান সংঘাতের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে হাদি সরকার ও হুতি বাহিনী দুই পক্ষকেই সাহায্যের জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
দেশটিতে চলমান এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। এ ছাড়াও দেশটির শিশুরা চরম পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থায় এ যুদ্ধটি ইতিহাসের অন্যতম মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।