আদ্রা গ্রামে গাছের সাথে বেধে এক আধা পাগল যুবককে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৬ নং আদ্রা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড পশ্চিম আদ্রা গ্রামে মৃত মোফাজ্জল সুতারের দ্বিতীয় ছেলে আসাদুল্লাহ আসাদ (৩৬) কে একই গ্রামের মৃত খোকা গাড়িয়ালের ছেলে বেগুইলে(৪৫) তার ছেলে জুয়েল(২৫), মৃত ফজল সুতারের ছেলে ফারুক(৩৫) গংরা ৮ এপ্রিল /২২ আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে নির্যাতিত আসাদ ডেকে নিয়ে গাড়ির ছান ( রশি) দিয়ে বেধে মাটিতে শুয়াইয়া ফেলে লাথি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে কয়েক দফা মেরে ফেলার মানসে বেধর মার ধর করে এবং এক তরফা গাছে সাথে বেধে মারতে থাকে। অবস্থা বেগতি দেখে বেলাল মেকার নামে জনৈক ব্যক্তি আসাদ উদ্বার করে।

আক্রমণ কারীরা আসাদকে জানে মেরে ফেলবে বলে হুমিকদিয়ে কিছুসময়ের জন্য চলে যায়। নির্যাতিতের মা বিধবা সুজি বেওয়া বলেন আমরা প্রাণের ভয়ে ডাক্তার ও পুলিশের কাছ যেতে পারছিনা।

আমাদের কেউ নেই আমি এই অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে একটু বাঁচার আশায় আশ্রয় খুঁজতেছি।কেউকি আমাদের পাশে দাড়াবার নেই? বিনা দোষে মিথ্যাচার করে জমি দখলের চেষ্টায় আমার অসুস্থ ছেলেকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল। কেন তার উপর এই অমানুষিক নির্যাতন?কেনই বা আইন হাতে তোলে নিয়ে হাত বেধে শুয়াইয়ে এবং গাছের সাথে বেধে একজনকে প্রায় মেরেই ফেলছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলতাফুর রহমান আলতা মেম্বার বলেন- আসাদ একটা নেশাগ্রস্থ লোক। গতকাল ৭ এপ্রিল বিকেলে মর্জিনা নামে স্বামী পরিত্যক্ত মহিলার ৫ বছর বয়সি নিশা মনিকে প্রলোভন দেখিয়ে বিবস্ত্র করে অনৈতিক কাজ করতে গেলে পাশের বাড়ির ফজলুর বউ দেখে ফেলে বলে আমাকে জানায়।

এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু নিশার হিতাকাঙ্খি( আত্মীয় ) বেগুইলে, জুয়েল, ফারুক গংরা এ হামলা চালায়।আমি বিষয়টি নিয়ে ছোট পরিসরে বসে রাতের মধ্যেই মিল করবো। নইতো আসাদকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো।

শিশুর মা মর্জিনা ও মর্জিনার মার সাথে কথা বললে তারা জানান- কিছু হয়নি তবে আমি আসাদকে মেরে ফেলবো, আমার মেয়ের হাত ধরলো কেন? তবে শিশু নিশা মনির সাথে কথা বলতে চাইলে তারা শিশু নিশা মনির সাথে কথা বলতে না দিয়ে রহস্য জনক ভাবে নিশা মনিকে আড়াল করে রেখেছে। অনৈতিক কাজ সংগঠিত হওয়ার স্বাক্ষী ফজলুর বউয়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান- আমার কোলে কয়েকদিনের যাতক ঘরের বাচ্চা।

আমি কি করে বাহিরের খবর বলব ও দেখবো? আমি এমন কিছু দেখিও নাই শুনিও নাই। নিযার্তননের স্বীকার অসুস্থ আসাদ কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন- আমি দুপুেরর পর হতেই গুজামানিকা বাজার ও কুঠের বাজারে ছিলাম। আমি আমজাদের অটো দিয়ে গেছি আমার সাথে ফেরদৌস ছিলো। আমি এই কাজ কি করে করলাম।

তবুও আমাকে মিথ্যা ও চক্রান্তে ফেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে কয়েকজনে হাত বেধে মাটিতে ফেলে ও গাছের সাথে বেধে পশুর মতো মেরেছে।আমি বাঁচার জন্য সবার পা ধরে জীবন ভিক্ষা চায়ছি তবুও আমাকে ছাড়ে নাই।

আমি আগে নেশা করতাম ঠিক এখন আমার শরীর ভালো নাই।আমি মরে গেলে আমার একমাত্র অবলম্বন বিধবা মাকে সবাই দেখবেন এইকথা বলেই আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়ে। তবে এবিষয়ে এলাকায় নানামুখি ঝল্পনা কল্পনা চলছে। মেলান্দহ পুলিশ জানিয়েছে এই পর্যন্ত কেউ কোন বিষয়ে অভিযোগ দেইনি।