মোঃ আমিনুল ইসলাম জুয়েল,নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে গোয়ালগাড়ী বাজারে কথিত বিয়ের ফাঁদে ফেলে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ধারণ ও সিন্ডিকেট করে প্রতারণার ঘটনা বিষয়ে সংবাদের মন্তব্য নেওয়ার সময় সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে এক প্রতারক।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে থানায় জিডি করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সাংবাদিককে হুমকির ঘটনা দুঃখজনক। কল রেকর্ড শুনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিডির বিবরণে বলা হয়, পৌরসভা এলাকার নামুইট মহল্যার মৃত টুকু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম (৫০) উপজেলার হাটধুমা গোয়ালগাড়ী বাজারে সার কীটনাশকের দোকানি। ব্যবসার আড়ালে নারীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকার পুরুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বৃদ্ধ পুরুষদের টার্গেট করে কথিত বিয়ের ফাঁদ গড়ে তুলেছে। নজরুল নামের ওই ব্যক্তি নিজেই কাজী সেজে বিবাহ দেন। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরপরই হারিয়ে যায় নববধু। ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ এমন প্রতারণার শিকার হলে দৈনিক উত্তরের দর্পণ পত্রিকার সংবাদকর্মী আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে বিষয়টি জানান। প্রতারণার বিষয়ে সংবাদের জন্য অনুসন্ধানকালে প্রতারককে মুঠোফোনে কল করে ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য চাইলে সাংবাদিক জুয়েলকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
প্রতারণার শিকার বৃদ্ধ বলেন, কীটনাশকের দোকানে তাকে ডেকে টাকা নেয় নজরুল। নিজেই কাজী সেজে এক তরুনীর সঙ্গে বৃদ্ধের বিয়ে দেয়। দোকানের ভিতরেই বিছানা পেতে হয় বাসর। পরে নববধুকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। পথিমধ্যে কৌশলে নববধু তরুনী উধাও হয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, কথিত বিয়ের ফাঁদে ফেলে সিন্ডিকেট করে প্রতারণার ঘটনার বিষয়ে সংবাদের মন্তব্য নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। প্রশ্ন করতেই ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়েছে।
জিডি এবং ঘটনা প্রসঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নজরুল ইসলাম বলেন, আমার কোনো মন্তব্য নেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।