উদ্যোক্তাঃ উদ্যোক্তা কি? কেন হবেন উদ্যোক্তা?

উদ্যোক্তা হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি এমন পণ্য বা সেবা তৈরি করেন যে বিষয়ে আগে কেউ কখনো ভাবেনি। পুরানো কোনো ব্যবসাও নতুন আঙ্গিকে শুরু করাকেও মাঝে মাঝে ব্যবসায়িক উদ্যোগের মধ্যে ধরা হয় কিন্তু আসলে নতুন কোনো পণ্য বা সেবাকেই মূলত উদ্যোগ বলে।

এক্ষেত্রে ব্যবসাটি কিভাবে শুরু করবেন, কিভাবে চালাবেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি, সবকিছুই উদ্যোক্তাকে নিজে ভাবতে হয়। একজন উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে সাধারন মানুষ থেকে একটু ভিন্নভাবে ভাবতে হবে।

বাক্সের বাইরে চিন্তা করতে হবে। আরও অনেক বৈশিষ্ট্য একজন উদ্যোক্তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে যা তাকে সাধারন মানুষ থেকে একটু আলাদা করে রাখে।

যাহোক, এই আর্টিকেলটিতে আমরা উদ্যোক্তা কি, একজন উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, কেন হবেন উদ্যোক্তা সহ এই বিষয়ক সকল প্রশ্নের উত্তর দিবো। আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান, প্রথমেই আপনার এই বিষয়গুলো জানা খুবই জরুরি। তো দেরি না করে চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

উদ্যোক্তা কি?

উদ্যোক্তা কি এই বিষয়ক ছোট খাটো একটা ধারনা এতক্ষণে পেয়ে গিয়েছেন। এখন হবে এই বিষয়ক বিশদ আলোচনা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মনে করেন উদ্যোক্তা মানেই ব্যবসায়ী। এর মধ্যে কোনো পার্থক্যই নেই।

আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন ব্যবসায়ী এবং একজন উদ্যোক্তার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ব্যবসায়ী একটি পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন। কিন্তু একজন উদ্যোক্তা সেই পণ্য বা সেবাটি উদ্ভাবন করেন। এক্ষেত্রে সকল উদ্যোক্তাই ব্যবসায়ী কিন্তু সকল ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নয়।

একজন ব্যবসায়ী তখনই উদ্যোক্তা হবেন যদি তিনি যে পণ্যটি বিক্রি করছেন সেটি তার নিজের দ্বারা উদ্ভাবিত হয়।

উদ্যোক্তাদের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপানার মধ্যে অবশ্যই কিছু বিশেষ গুণাবলী থাকা প্রয়োজন যেগুলো হয়ত আর বাকি ১০ জন মানুষের মধ্যে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার মধ্যে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত।

অভিনব ধারণা

এটি হচ্ছে প্রধান পার্থক্য ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তার মধ্যে। আমরা আগেই বলেছি যে, একজন ব্যবসায়ী পুরাতন পন্য বা সেবা নিয়ে কাজ করেন যা আগে কেউ একজন উদ্ভাবন করে গেছে যা তার কাছে লাভজনক মনে হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের পথ প্রদর্শক যারা মূলত এসব পণ্য, সেবা বা ধারণা উদ্ভাবন করে চলেছেন।

ঝুঁকি গ্রহণ

ব্যবসায়ীরা তেমন ঝুঁকি নিতে চায় না আবার বলা যায় তাদের কাজে উদ্যোক্তাদের থেকে ঝুঁকি অনেক কম। একটি নতুন পণ্য বা সেবা বাজারে আনতে অনেক বেশি সময় এবং অর্থের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা কাজ করে থাকে।

কিন্তু পুরাতন পন্য, সেবা বা ধারণার ক্ষেত্রে জিনিসটা পুরোটাই ভিন্ন। আপনি চাইলেই আপনার ঝুঁকি পরিমাপ করে সেটির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে নিতে পারবেন।

কাজ করার উদ্দেশ্য

একজন ব্যবসায়ীর কাজ করার উদ্দেশ্য মূলত মুনাফা অর্জন। কিন্তু উদ্যোক্তার উদ্দেশ্য মূলত নতুন কিছু বাজারে এনে বিশ্বকে চমকে দেওয়া এবং মানুষের জীবনযাপন সহজ করে তোলা। এক্ষেত্রে তারা মুনাফা বা আর্থিক লাভের কথা নিয়ে তেমন চিন্তা করেন না।

সময়ের ব্যবহার

ব্যবসায়ীরা সময়ের বিষয়ে খুবই সচেতন। তারা সাধারনত একটা সেকেন্ডও অপচয় করতে চান না। সব কিছু দ্রুত করার চেষ্টা করে থাকেন।

কিন্তু উদ্যোক্তারা বিষয়টিকে এমন ভাবে দেখেন না। তারাও অবশ্যই সময়কে মূল্যবান মনে করেন। তারা অত্যন্ত সচেতনতার সাথে টাইম ম্যানেজমেন্ট করে থাকেন।

তারা বিশ্বাস করেন তারা শিল্প নিয়ে কাজ করছেন এবং এখানে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে প্রস্তুত থাকেন।

কিভাবে বিশ্বকে দেখেন

সাধারণত ব্যবসায়ীরা বিশ্বকে একটি সুযোগ হিসাবে দেখেন যেখান থেকে তারা নিজেদের জীবনের চাহিদাগুলো খুব ভালভাবে মিটিয়ে নিতে চান।

কিন্তু একজন উদ্যোক্তা সাধারণত বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে আসেন। তাদের প্রয়াসে মানুষ এবং মানুষের জীবন উন্নত থেকে উন্নততর হয়।

সাফল্যের সংজ্ঞা

সাফল্যের সংজ্ঞা আসলে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। একজন ব্যবসায়ীর সফলতা তখনই আসে যখন সে তার পণ্য বা সেবাটির টার্গেটকৃত পরিমাণ ইউনিট বিক্রি করতে সক্ষম হন।

কিন্তু একজন উদ্যোক্তার সফলতা আসলে নতুন কিছু উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলার মধ্যে বিদ্যমান।

কেন হবেন উদ্যোক্তা?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে হয়তো হাজার হাজার ওয়ার্ড লেখা হয়ে যাবে। বাংলাদেশের মতো একটি দেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই।

সেকালে স্যামসন এইচ চৌধুরী যদি সামান্য কিছু টাকা নিয়ে একটি ওষুধ তৈরির কোম্পানি শুরুই না করতো, তাহলে আজকে স্কয়ারের মতো প্রতিষ্ঠান দেশে থাকতো না।

এরকম আরও হাজার হাজার উদাহরণ আছে দুনিয়া জুড়ে যেসব মানুষগুলো এই বিশ্বকে তাদের কাজকর্ম দ্বারা পরিবর্তন করে রেখে গিয়েছেন।

তের বছর বয়সে যে দুরন্ত ছেলেটি মাত্র ১৬ টাকা নিয়ে জীবিকার খোঁজে বেরিয়ে পড়েছিল, চেয়েছিল উদ্যোক্তা হতে, একটা সময় পরে তার কাছে জমি বিক্রি করা নিষিদ্ধ করে দেন সরকার। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, কথা বলছি আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আকিজ উদ্দিনকে নিয়ে।

এসব প্রতিষ্ঠান আসতোই না যদি তারা উদ্যোক্তা হওয়ার দুঃসাহসটি না করতেন। তো আপনিও যদি এসব মানুষগুলোর মতো দেশ বা পৃথিবীকে কিছু দিতে চান, উদ্যোক্তা হওয়াই আপনার জন্য সব থেকে সহজ পন্থা হবে।

উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়?

সত্যি কথা বলতে এমন কোনো চেকলিস্ট আমাদের জানা নেই যেটি অনুসরণ করলেই আপনি হয়ে যেতে পারবেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা।

তবে হ্যাঁ, কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো একজন ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার মধ্যে অবশ্যই থাকা উচিত। অন্তত এতটুকু তো বলা যেতেই পারে যে আপনি কোনো রকম পরিশ্রম করা ছাড়াই উদ্যোক্তা হয়ে যেতে পারবেন না।

আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করে, মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবেন।

সফল উদ্যোক্তাদের গুনাবলীসমূহ

এতক্ষণে আশা করি বুঝে গিয়েছেন উদ্যোক্তা হওয়ার কেন জরুরি আপনার জন্যে। উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়টা আসলে একজন মানুষের ভিতরে উপরওয়ালা প্রদত্ত হয়। যে কেউ চাইলেই হতে পারেনা।

এটা এমন বিষয় না যে আপনার পরিবার চাচ্ছে আপনি একজন উদ্যোক্তা হবেন আর হয়ে গেলেন। আপনার যতই পৈত্রিক সম্পত্তি থাকুক, আপনি চাইলে একজন ব্যবসায়ী হতে পারবেন। কিন্তু চাইলেই উদ্যোক্তা হতে পারবেন না।

তবে বিভিন্ন কিছু কিছু গুণাবলী রয়েছে যেগুলো সাধারনত সকল সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী পর্যালোচনা করলেই খুঁজে পাওয়া যায়।

চলুন দেখে আসি কি কি গুণাবলী আপনার ভেতরে থাকলে আপনি মনে করবেন আপনি একজন উদ্যোক্তা হতে পারবেনঃ

ঝুঁকি গ্রহনের মানসিকতা

ঝুঁকি গ্রহনের ক্ষমতা সবার থাকে না। এজন্যেই সবাই চাইলেই উদ্যোক্তা হতে পারে না। ব্যবসায়ীরাও তো ঝুঁকি গ্রহন করে; তবে এতো মাত্রায় না। তারা সাধারনত প্রথমে ঝুঁকি পরিমাপ করে এবং তারপরে যতদূর সম্ভব তা কমানোর চেষ্টা করে। এরপরে তারা একটি ব্যবসায়ে নামে।

কিন্তু একজন উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমানো বাড়ানো বা পরিমাপের কোনো সুযোগ নেই। আপনি চাইলেও পারবেন না কারন আপনার ধারণার পুরোটাই নতুন। তো আপনার যদি অধিক পরিমানে ঝুঁকি নিতে কোনো সমস্যা না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার একটা গুন বিদ্যমান।

নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই নেতৃত্ব দানের ক্ষমতার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যখন একজন সফল উদ্যোক্তা হবেন আপনার প্রতিষ্ঠানে শত শত লোক কাজ করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের সবাইকে একা সামলানোর ক্ষমতা আপনার ভেতরে লিডারশিপ স্কিল থাকতে হবে।

এটিও একটি উপরওয়ালা প্রদত্ত গুন মানুষের ভেতরে কারন একটা জিনিস খেয়াল করবেন, সবাই কিন্তু নেতা হতে পারেনা না। নেতা কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষই হয়।

প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব

আপনার মধ্যে অবশ্যই প্রতিযোগিতা মূলক মনোভাব থাকতে হবে যাতে সকলের সাথে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে গিয়ে আপনি সমাজ, দেশ তথা বিশ্বকে সব থেকে উন্নতমানের পণ্য বা সেবা উপহার দিতে পারেন।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা

আপনি যখন একটি প্রতিষ্ঠান চালাবেন সেখানে ছোট বড় সকল সিদ্ধান্তই আপনার নিজেকেই নিতে হবে। আপনার সঠিক সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করবে আপনার উদ্যোগের সফলতা।

এক্ষেত্রে কারও কোনো সহযোগিতা আশা করা যাবেনা। আপনি যত ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, আপনার প্রতিষ্ঠানটিও তত উন্নত হতে থাকবে।

বুদ্ধিমত্তা

একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার শুধু ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকলেই হবে না। বিশ্বের সকল বিষয় সম্পর্কের আপনার জ্ঞান থাকা লাগবে। কখন কোন জ্ঞান আপনার কাজে লাগবে আপনি নিজেই আগে থেকে বলতে পারবেন না।

নমনীয়তা

যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়া সব থেকে বুদ্ধিমান এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষদের গুন। এই গুনটিকেই মূলত নমনীয়তা বলে।

আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার সকল পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।

কখন কোন পরিস্থিতি আপনার সামনে আসবে, কেউ জানে না। ওই পরিস্থিতিতে যদি নিজেকে মানিয়ে নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়া যায়, তাহলে সফলতা আশা করা কাম্য নয়।

যোগাযোগের দক্ষতা

কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগের দক্ষতা একজন সফল উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি গুন। কেননা আপনার পণ্য বা সার্ভিস কাস্টমারের কাছে বিক্রি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সেলসে খুবই ভালো হতে হবে।

আপনি যদি নাই জানেন মানুষের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন, আপনার উদ্যোগের কথা মানুষের কাছে যাবে কিভাবে? ব্যবসায়িক সাফল্য অনেকটাই আসলে নির্ভর করে এই গুণটার উপরে।

সমন্বয় করার ক্ষমতা

আপনি যখন একটা জায়গার প্রধান হবেন অবশ্যই আপনাকে অনেকগুলো বিভাগের কাজের মধ্যে সমন্বয় করতে হতে পারে। এছাড়া সহকর্মী, কর্মচারী ইত্যাদির মধ্যেও সমন্বয় করার প্রয়োজন হতে পারে।

তাই এই গুণটি অবশ্যই একটা না একটা সময় লাগবেই আপনার যদি আপনি উদ্যোক্তা হতে চান। এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান দেখা যায় যেখানে শুধুমাত্র সমন্বয়ের অভাবে সফলতা আসে না।

বিচক্ষণতা

সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত যারা নিতে পারে, তারাই জীবনে সব থেকে বেশি সফল হন। অনেক পূর্বে ঢাকা শহর মূলত যখন গ্রাম ছিল ওই সময় জহিরুল ইসলাম কোনো ভাবে বুঝতে পেরেছিলেন যে এক সময় ঢাকা শহরের জমির দাম অনেক বৃদ্ধি পাবে। তাই তখন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অনেক জমি কিনে রেখেছিলেন, যেগুলো এখন সোনায় রূপান্তরিত হয়েছে।

সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গোপন সূত্র

সবকিছু বলার পরে এই জিনিস না থাকলে আর্টিকেলটি কেন জানি পূর্ণাঙ্গ বলে মনে হচ্ছিল না। উদ্যোক্তা হওয়ার বৈশিষ্ট্যাবলীর মধ্যে বলা হয়েছিল উদ্যোক্তাদের কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।

কিন্তু আমাদের দেশের বেশিভাগ মানুষজনই এই বিষয়টির সাথে খুব একটা একমত হতে চান না। আমরা সব সময়ই প্রতিটি কাজ করার কোনো না কোনো একটি শর্টকাট সিস্টেম খুঁজে বেড়াই।

শর্টকাট সিস্টেম খুঁজে বেড়ানোর কারন কিন্তু এটি নয় যে আমরা আমাদের সময় বাঁচাতে চাচ্ছি। বরং আমরা চাচ্ছি কিভাবে অল্প সময়ে স্বল্প পরিশ্রমে ধনী হওয়া যায়।

সত্যি কথা বলতে, উদ্যোক্তা হওয়ার কোনো গোপন সূত্র নেই। সব কিছুই আমাদের এই আর্টিকেলটিতে বলে দেওয়া হয়েছে। আপনাকে এখন শুধু সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

আর এইটুকু কাজটি যদি আপনি করতে না পারেন তাহলে আসলে অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাতে হচ্ছে যে উদ্যোক্তা জীবনটি আসলে আপনার জন্য নয়।

শেষ কথা

এই ছিল মূলত উদ্যোক্তা বিষয়ক আলোচনা। আশা করি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর এখান থেকে পেয়ে গিয়েছেন। এখানে আলোচিত গুণাবলীগুলো যদি আপনার থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার চেষ্টা করা উচিত উদ্যোক্তা হওয়ার। আর আরও বিস্তারিত জানতে বা বুঝতে চাইলে এ বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স রয়েছে বিভিন্ন প্লাটফর্মে। কোর্সগুলো করে নিতে পারেন তাদের যেকোনো একটি থেকে।