এসময় সেনাবাহিনী হাতে আটক হন উপজেলা আশিদ্রোন ইউনিয়নের হরিনাকান্দি এলাকার অমলেন্দু পাল এর ছেলে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিঠুন পাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস। পরে মিঠুন পালকে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।ওই ক্লাবে গত এক বছর থেকে অবৈধভাবে মদ পান করেন জেলার বিভিন্ন মদ সেবনকারী ব্যবসায়ী ও আমলারা।
জন্মবিরতিকরণ বড়ি ও ব্যবহৃত কনডম পাওয়াতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, এখানে অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। দীর্ঘ দিন থেকে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অবৈধকান্ড পরিচালিত হলেও অতীতে স্হানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অভিযান পরিচালনা করা হয় নাই। এতে স্হানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেনাবাহিনীর এমন অভিযানকে তারা স্বাগত জানান। যদিও ক্লাব বলা হলেও এ ক্লাবের এখন পর্যন্ত বৈধ কোন লাইসেন্স ক্লাবের কোন সদস্য দেখাতে পারেন নাই। স্হানীয় মৌলভীবাজার সড়কের ব্যবসায়ী আবু সুলতান ইদ্রিস লেদু এ ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর মেজবা জানান,মিঠুন পাল গত বুধবার রাতে মদ পান করে সবুজবাগ এলাকায় মানুষের ওপর হামলা করে,পরে সেও এলাকাবাসীর হাতে জখমপ্রাপ্ত হয়। মদ কোথায় থেকে পান করেছে এমন জিজ্ঞাসাবাদে সে শ্রীমঙ্গল ক্লাবের সদস্য জানালে,সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযান চালালে এসব অবৈধ মদসহ বাকী দ্রবাদি জব্দ করা হয় বলে তিনি জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।