তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর: মনিজা বেগম একজন ব্রয়লার মুরগীর কাটা মাংস বিক্রেতা নারী কসাই । দেশের নারীদের অনুকরণীয় মনিজা নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে সংসারের অভাব পুরন করে যাচ্ছেন। মনিজা বেগম দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামার পাড়া ইউনিয়নের জমিদার নগর আশ্রয়নের বাসিন্দা। ভবঘুরে মোস্তাফিজুর রহমানের সহধর্মিণী। অভাবের সংসার, স্বামী ভবঘুরে। দু”ছেলে এক মেয়ের জননী মনিজা বেগম।

অভাবের সংসারে একটু সুখের মুখ দেখার আশায় জমিদার নগর বাজারে ছোট একটি ছাউনি দিয়ে একটি ছোট চোকি ফেলে দোকান শুরু করেন তিনি।

শুরুটা করেন ১ টি ব্রয়লার মুরগী দিয়ে। প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বাজার পাকেরহাট থেকে চার পাঁচটি করে ব্রয়লার মুরগী নিয়ে এসে তা কেটে বিক্রি করেন মনিজা। মনিজার অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও পুজির অভাবের কারনে তার ব্যাবসার পরিধি বাড়াতে পারছিলেন না যার কারনে সংসারে দারিদ্রতা তার পিছু ছাড়েনা এমনটিই বলেন মনিজা। মনিজার বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেখে খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম সেখানের স্থানীয় সাংবাদিক চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ এর কাছে মনিজার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।

সঠিক সব তথ্য জেনে ২৭ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মণিজার বেগমের হাতে ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব – উল- ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, দেশে এই ধরনের নারী উদ্যাক্তা সত্যি দুর্লভ। খানসামা উপজেলায় ব্রয়লার মাংস বিক্রেতা কসাই জীবন সংগ্রামী নারী সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

দারিদ্রতার চরম শিখরে গিয়েও যে নারী মানুষের কাছে হাত না পেতে নিজের শ্রম দিয়ে সংসার পরিচালনার মত সাহস নিয়ে সংসারের হাল ধরেছে, তার হাতে এই অর্থ তুলে দিতে পেরে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগছে। আগামাীতে মনিজাকে দেখে দেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা যেনো সৃষ্টি হয়। এরপর মনিজার সাথেকথা বললে সে খুশিতে কেঁদে ফেলে এবং বলে, স্যার মেল্লা ভালো মানুষ, মোখ মেল্লা টাকা দিছে। এই টাকা দিয়া মেল্লা মুরগী আনিম, আর মোর সংসারোত অভাব থাকিবেনা। ইউএনও স্যারের আল্লাহ ভালো করুক।