পুরুষ ও নারীদের মধ্যে সঙ্গী বা সঙ্গিনী পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা একই রকমের হয় না। নারীদের চেয়ে অনেক বেশি এই আকাঙ্ক্ষা বা আসক্তি থাকে পুরুষদের মধ্যে। যৌবনকালই হোক বা মধ্যবয়স অথবা বার্ধক্য একাধিক সঙ্গিনীর সান্নিধ্য পেতে চান সকল পুরুষই।
সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে। পনেরো হাজার পুরুষ ও নারীদের মধ্যে একটি জরিপ চালান গবেষকরা। সেই জরিপ থেকেই তারা প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণ করা পুরুষ ও নারীদের আলাদা আলাদা ভাবে প্রশ্ন করা হয় তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর বিষয়ে। জানতে চাওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত কতজন পুরুষ বা নারী তাদের জীবনে এসেছে? বা কতজনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন তারা? যা উত্তর এসেছে তাতে কার্যত অবাক গবেষকরা।’
জানা গিয়েছে উত্তরে, নারীদের তুলনায় অনেক বেশি সঙ্গিনীর কথা উল্লেখ করেছেন পুরুষরা। ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সের মধ্যে পুরুষরা জানিয়েছেন, এই সময়কালের মধ্যে তাদের জীবনে গড়ে ১৪ জন করে নারী এসেছে। কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, কারও সঙ্গে হয়েছে কেবল মিষ্টি প্রেম সম্পর্ক। অপরপক্ষে একই প্রশ্নের উত্তরে, একই বয়সের নারীরা জানিয়েছেন, গড়ে সাতজন করে পুরুষের সঙ্গে প্রেম করেছেন বা যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ এটা প্রমাণিত হয়েছে নারীদের তুলনায় পুরুষদের প্রেমে পড়ার বা যৌন আসক্তি অনেক বেশি।
উত্তরের এই ট্রেন্ডের পিছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে জানান গবেষকরা। তাদের মতে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের মধ্যে যৌন আসক্তি বাড়তে থাকে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেবল একাধিক নারীর সান্নিধ্যই পেতে চান তারা। তাদের মনে বাড়তে থাকে সঙ্গমের ইচ্ছা। যা আরও বেশি করে পুরুষদের মধ্যে সঙ্গিনী খোঁজার তাড়না বাড়ায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।