অলিউর রহমান মেরাজ, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: চিকিৎসক হয়ে এলাকার গরীব, অসহায় ও চিকিৎসা করতে অসমর্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সদ্য মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া আসিফ বাবু ।
চোখের সামনে চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দুরাবস্থার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ছেলেকে দিয়ে এমন ইচ্ছা পোষণ করেন আসিফ এর মা মোছাঃ হালিমা বেগম ।
আসিফ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ২ নং বিনোদ নগর ইউপির পাঠান গঞ্জ বাজার এলাকার আয়নাল হক এর ছেলে ।
এবার এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে চান্স পান তিনি। এর আগে ২০১৯ সালে স্থানীয় বিনোদনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০২১ সালে সৈয়দপুর ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসিতে সব বিষয়ে জিপিএ ৫ অর্জন করেন।
ছোট বেলা থেকেই আসিফ এর ইচ্ছা ছিল সে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হবেন । কিন্তু আসিফের বাবা মার ইচ্ছা ছেলে চিকিৎসক হয়ে এলাকার অসামর্থবানদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিবে, সমাজসেবায় আলোকিত মানুষ হবে ।
বাবা মার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে মেডিকেল কলেজ ভর্তি যুদ্ধে নামেন আসিফ। কোচিং শুরু করেন রংপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে। অবশেষে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৭৮ পেয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।
কথা হয় ভর্তির সুযোগ পাওয়া মোঃ আসিফ বাবুর সাথে, তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আমার ইচ্ছা ছিলো কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ব। কিন্তু বাবা মার ইচ্ছা আমি চিকিৎসক হই, তাই চিকিৎসা পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া। মা খুব চাইতো আমিও সাদা এপ্রোন পরে মানুষের সেবা করি। একজন মানবিক ডাক্তার হই, মানুষের পাশে দাড়াই। অবশেষে মায়ের স্বপ্ন পুরণ করতে ও তাদের মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছি। এটি সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করছি ।
আসিফ এর মা মোছাঃ হালিমা বেগম। জানান, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি হওয়ায় এক সময় বিনা চিকিৎসায় অনেক নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের দুরাবস্থা দেখেছি, সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ছেলেকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখতাম । আল্লাহর অশেষ রহমতে ছেলে ডাক্তারী পড়ার সুযোগ পেয়েছে । ডাক্তার হয়ে অসহায় ও গরিব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা বলেছি ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।