”নেশা,,
রাশিদুল ইসলাম
আমি তো দেখেছি কতো লোককে
নেশায় মত্ত হতে,
জীবন খানা দিয়েছে তুলে
যম নেশাটির হাতে।
সাপ দংশনে মুহুর্তে শেষ
নেশায় তা নহে,
হাজারো মরণ সঙ্গে লয়ে
মানব দেহে তা রহে।
বারে বারে মরন আসে
কবরে নেয়ার তরে,
কষ্ট আর কষ্ট মাঝেই
বাচিয়া রহে ঘরে।
মর্গ খুশি লাশে আর
নেশায় খুশি ধ্বংশে,
সব কিছুরে শেষ করে সে
কেউ রহেনা বংশে।
যেজন হয়েছে মত্ত নেশায়
আনন্দ হারিয়েছে তার,
মুখের হাসি হয়ে যায় বিলীন
চলে যায় ওপার।
যাতনা সে পাহেনা একা
অন্যদেরও লহে সাথে,
মাথা গুজিবার ঠাই থাকেনা
হাজারো বিপদের রাতে।
নিঃস্ব হয়েছে কতো পরিবার
চোখ বুঝিলেই দেখি,
ভাগ্যটা তাই নিয়েছে মেনে
আধার জীবনের বাতি।
দেখেছি আমি অনেকে আবার
হারিয়েছে বংশীয় প্রদীপ,
হারহামেশায় ডোবাতে চায়
দুঃখ নামের দ্বীপ।
নেশার বিষ সারিবার ওঝা
পাইনি কোথাও খুজে,
যেজন হয়েছে মত্ত নেশায়
যাতনা সেই বুঝে।
আধারে যেমন ঢিল ছুড়িলে
সই করাটা কঠিন,
ঐ যমের সঙ্গ পালকে
ধর্মে বলে বিদিন।
কতো জীবন গিয়েছে খোয়া
নেশায় মত্ত হইয়া,
দুমুঠো ভাত পারেনি ক্ষেতে
স্বপ্ন হয়ে যায় ভরিয়া।
আসো ভাই আসো বোন
নেশাকে করি ত্যাগ,
সুন্দর সুষ্ঠ জীবন চালাতে
ধর্মকে করি ট্যাগ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।