ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় জেলা এবং অন্যান্য সকল জেলা সদর সহ সমগ্র দেশের সকল সাংগঠনিক স্তরের ভৌগোলিক অবস্থানগত শহরের/নগরের প্রাণকেন্দ্রে দলীয় কার্যালয় স্থাপন রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিকভাবেই অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে থাকে।অথচ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ দেশের সকল সাংগঠনিক স্তরের নগর কিংবা শহরকেন্দ্রিক প্রাণকেন্দ্রে সংগঠনের দলীয় কার্যালয় থাকলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকে রানীবাজারে কার্যালয় হওয়ার পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য এবং জেলার সকল সাংগঠনিক স্তর থেকে আসা দলীয় নেতা-কর্মীদের একটু আশ্রয় পাওয়ার মতো কিংবা একটু বসার মতো রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের জন্য জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে কোনো স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়নি ইতোপূর্বে।

রাজশাহী জেলার সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতীম সংগঠন এমনকি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সুদীর্ঘ দিনের দাবী ছিলো বছরের পর বছর ধরে ভাড়া করা অফিসে না থেকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনের নিজস্ব একটা স্থায়ী দলীয় কার্যালয় রাজশাহী জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যবস্থা করার জন্য।

জেলার সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিনের এহেন যৌক্তিক দাবীকে অন্তরে ধারণ করে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বিদ্যমান কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি তথা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম কাজী আব্দুল আওয়ালের জ্যেষ্ঠ সন্তান আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সন্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাজশাহীর আওয়ামী নেতা কর্মীদের মহতী সেই প্রত্যাশা পুরণের লক্ষ্যে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী দলীয় কার্যালয় স্থাপনের দীর্ঘদিনের দাবীপুরণে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন।

এবিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ বর্ধিত সভা সমূহে সমুচ্চারিতভাবে দাবী সম্বলিত প্রস্তাবণাও উত্থাপিত হয় বারংবার।যার ফলশ্রুতিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী দলীয় কার্যালয় রাজশাহী জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে স্থাপনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি সর্বসম্মতিক্রমে অনুরোধ সহ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

একই সাথে জেলা আওয়ামী লীগের নামে কিংবা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দলীয় পদের নামে কোনো হিতৈষী দাতাব্যক্তি কিংবা দাতাসংস্থা যেকোনো প্রকার দান-অনুদান করার সদিচ্ছা পোষণ করলে দান-অনুদান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি কিংবা কাগজপত্রাদি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর বিভাগে জমা দেওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ তা যথাযথভাবে অবলোকন এবং বিবেচনাপূর্বক যথার্থ মনে করলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনা সহ সিদ্ধান্তপূর্বক জেলা আওয়ামী লীগের সম্পদ হিসেবে এবং মাঝেমধ্যে সংগঠনের অন্যান্য আনুসাঙ্গিক সাংগঠনিক কর্মকান্ডের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

যারই ফলশ্রুতিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রাজশাহী জেলার সন্মানিত জেলা প্রশাসক বরাবরে রাজশাহী নগরীর প্রাণকেন্দ্রে জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী দলীয় কার্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে জমির বরাদ্দ চেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সহ আবেদন জানালে জেলা প্রশাসন থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রাজশাহী নগরীর প্রাণকেন্দ্রে রানীবাজারে ১৪ শতাংশ পরিমাণ জমির ডি.সি.আর পত্র জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের হাতে হস্তান্তরিত হয়।এর মধ্য দিয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ইতিহাসে একটা নতুন সমৃদ্ধ অধ্যায়ের শুভযাত্রা সুচিত হয়।

এরই প্রেক্ষিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মহাআনন্দ এবং ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে জেলা প্রশাসন থেকে রানীবাজারস্থ ৫০নং হোল্ডিং নাম্বারের প্রাপ্ত জমিতে জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল সম্পন্ন হয়।

উক্ত মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সদস্য রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিন এমপি, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুননেসা তালুকদার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাহ্ফুজুল আলম লোটন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. পি. এম সফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিবৃন্দ এ্যাড. মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ এবং আলহাজ্ব মোঃ জাকিরুল ইসলাম সান্টু সহ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকমন্ডলী সহ নেতৃবৃন্দ, জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকমন্ডলী সহ নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত সর্বস্তরের জনপ্রতিবৃন্দ এবং জেলাধীন সকল সাংগঠনিক স্তরের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকবৃন্দ।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণ ও আহবানে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়ে উক্ত মিলাদ মাহফিলে সমগ্র জেলার সর্বস্তর থেকে আসা স্বপ্নজয় করা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতা-কর্মীদের মাঝে গভীর আনন্দ উচ্ছ্বাস ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যায়।

উল্লেখ্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার অসুস্থ অবস্থায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকায় উক্ত মিলাদ মাহফিলের দিনে উপস্থিত থাকতে না পারলেও সুস্থ হওয়ার পর থেকে নিয়মিতভাবেই রানীবাজারস্থ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয়ে এমনকি অলোকার মোড়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে সকল সাংগঠনিক কর্মকান্ড সুসম্পন্ন করে চলেছেন তিনি।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মেরাজ উদ্দিন মোল্লাহ’র মৃত্যুর পর জেলা আওয়ামী লীগের ১নং সহ-সভাপতি পদ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারার সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে গভীর ভাতৃত্ব এবং হৃদ্যতার সাথে আওয়ামী লীগের শেঁকড় অস্তিত্বের দুই আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম অত্যন্ত সুদক্ষহস্তে পরিচালনা করে চলেছেন।একইসাথে জেলাধীন সর্বস্তরের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও ভাতৃত্ব এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গতিশীলকরণ সহ সাংগঠনিক ঐক্য সুদৃঢ় করতে সদাশয় কাজ করে চলেছেন তাঁরা।তাঁদের সুদক্ষ নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই জেলাধীন সকল উপজেলা, পৌর এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সন্মেলন সম্পন্ন হয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া চলমান।পাশাপাশি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলনেও হয়েছে অনেক সাংগঠনিক ওয়ার্ড স্তরে।

বর্তমানে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রানীবাজারস্থ স্থায়ী কার্যালয় থেকেই রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম অত্যন্ত গতিশীলতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে এবং অত্র দলীয় কার্যালয়ের বিদ্যমান যে স্থাপনা রয়েছে তার পাশাপাশি সুদৃশ্য আরও অবকাঠামো নির্মানের প্রক্রিয়াও অত্যন্ত তৎপরতার সাথে অব্যাহত।একইসাথে ২০১৮ সাল থেকে নগরীর অলোকার মোড়স্থ এ্যাসোসিয়েশন ভবন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারার ভাড়া নেওয়া অফিসে অস্থায়ীভাবে দলীয় অফিসের যে কার্যক্রম চলছিল সেখানেও দিনভর ও সন্ধ্যারাত্রি পর্যন্তও জেলার সর্বস্তরের দলীয় নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক আলোচনা-পর্যালোচনা কার্যক্রম সহ চা-চক্রে মিলিত হচ্ছেন নিয়মিতভাবেই।এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তাঁর কার্যকালের প্রারম্ভেই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যানির্বাহী সংসদের প্রথম সভায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাগমারা সংসদীয় আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব এনামুল হক জানান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির সময়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন কার্যনির্বাহী সংসদের সন্মানিত সাধারণ সম্পাদক এবং বিদ্যমান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদকে রাজশাহী জেলা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে রাজশাহীর সিটি বাইপাস এলাকায় ২০১৭ সালে জমি দান করেছেন এবং সেখানে একটি স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যাহত রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি’র বক্তৃতা অন্তে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ বডি থেকে উক্ত জমির কাগজপত্রাদি সহ স্থাপনাটির নির্মাণকমিটি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর বিভাগে জমা দিতে আহবান জানানো হয়।এরপর সুদীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও উক্ত জমি সংক্রান্ত কোনোরুপ নথিপত্র জেলা আওয়ামী লীগের সন্মানিত সদস্য এনামুল হক এমপির পক্ষ থেকে অদ্যাবধিও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তরে জমাদান করা হয়নি।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর বিভাগ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ-রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ এবং রাজশাহী জেলাধীন সকল উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সাথে সমন্বিতভাবে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংগঠনের জন্য কাজ করতে গিয়ে সহসাই প্রতীয়মান হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহাদর্শ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সার্বিক দিকনির্দেশনা সহ আদর্শিক অনুপ্রেরণায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার এবং রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা’র সুদক্ষ সাংগঠনিক নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম অত্যন্ত শক্তপোক্ত, সুদৃঢ় এবং সমৃদ্ধভাবেই ঐক্যবদ্ধ এবং অপ্রতিরোধ্য গতিধারায় অনেক অনেক সমৃদ্ধমাত্রায় গতিশীল।বিদ্যমান জেলা আওয়ামী লীগের সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি জেলাধীন সর্বস্তরের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দেশপ্রেমিক দলীয় নেতাকর্মীরা গভীরভাবে আস্থাশীল এবং শ্রদ্ধাশীল।এক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ সকল সাংগঠনিক স্তরের সকল নেতাকর্মী এবং দলীয় সমর্থকবৃন্দ মনে করেন এদেশের যেকোনো প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রকে সংগ্রাম আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথ থেকে প্রতিরোধ করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদে রাজশাহী জেলার সকল সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রাপ্তদের সফলভাবে বিজয়ী করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধারাবাহিকভাবেই রাষ্ট্রক্ষমতায় বহাল রাখার জায়গায় শক্ত ভূমিকা রাখার সর্বাধিক সক্ষমতা রয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের।

উপরোক্ত বাস্তবিক উপস্থাপনার প্রেক্ষিতে নিশ্চয়ই প্রতীয়মান হয় বাংলাদেশের বিভাগীয় জেলা রাজশাহী জেলার জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় স্থায়ী কার্যালয় জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রেই প্রতিস্থাপন করাটাই রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভে সর্বাধিক মাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।

সুতরাং, যে কারও প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাচেতনাকে চুলচেরা পর্যবেক্ষণ পূর্বক সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সার্বিক সক্ষমতা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের শতভাগ রয়েছে বলেই সর্বাধিক আস্থাশীল জাতির পিতার আদর্শের সকল নেতা-কর্মীরা।