স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মীর্জা আব্বাস দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের পদত্যাগ ছাড়া উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন,  আগামী সংসদ নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রশ্নে কোন ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচন করতে হলে সঠিক নিরাপদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধিনে নির্বাচন করতে হবে। জনগণ ভোটাধিকার ফেরত চায়। এই দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে, আর না। এবার জনগণ ঘুরে দাড়িয়েছে। এবার তারা গণতন্ত্র মুক্ত করে ঘরে ফিরবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) খুলনায় রোড মার্চের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রোড মার্চ শেষে খুলনায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হয় রাত ৮টায়। খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়েছেন আমাদের মহাসচিব। এই সময়ের মধ্যে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ না পাঠালে ভয়াবহ অবস্থা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার পারে শুধু মানুষ হত্যা করতে। কিছু লোককে গ্রেপ্তার করতে। আদালতে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা। অন্য কোন মামলা নেই। সারা বছর বিএনপি নেতাকর্মীদের আদালতে হাজিরা দিতে হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমেরিকা থেকে আসার কথা ছিল ৫ তারিখ, এতো তাড়াতাড়ি চলে আসছেন কেন? আমেরিকায় ১৮ জন শিল্পপতিকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন, তারা অবৈধভাবে আয় করা ১০০ বিলিয়ন ডলার ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। ব্যর্থ হয়ে এখন ফিরে আসছেন। তিনি বলেন, সরকারের পতন হলে তারা আর
ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, তিনি ৩৬ দিন গুনছেন আর ভাবছেন খালেদা জিয়া এর মধ্যে মারা যাবেন। খালেদা জিয়া মারা গেলে আপনারা কি বাঁচতে পারবেন?
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। বিকাল ৩টার দিকে শুরু হয় জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উঠলে শুরু হয় সমাবেশের মূলপর্ব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, উপ কোষাধ্যক্ষ মাহমুদ আলম খান বাবু, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ ত্রান ও পূনর্বাসন সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা, সহ-পরিবার ও কল্যান সম্পাদক জাহানারা বেগম।
সমাবেশ পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবুসহ নেতৃবৃন্দ।