নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতি বছরের ন্যায় আসছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আনন্দ মুখর উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শরতের কাশফুল জানান দিচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে। শরৎতের নির্মল প্রকৃতির নীল আকাঁশ, প্রকৃতির সবুজের সমারোহে সাঁদা সাঁদা কাঁশফুলে, শিউলির মন মাতানো সুগন্ধী, রাশি রাশি বাহারি রঙ্গের জবা যেন মা দৃর্গার অপরুপ এক সাজ।
দুর্গাপূজাকে ঘিরে মণিরামপুরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। ভক্তদের হৃদয় ছুঁতে শিল্পীদের প্রতিযোগিতা চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা।
সরেজমিন দেখা যায়, মণিরামপুরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এতে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে রাত-দিন পরিশ্রম করছেন তারা। কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে দেবীদুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা। মনের মাধুরী মিশিয়ে মৃৎশিল্পীরা ফুটিয়ে তুলছেন সকল দেবদেবীকে। দেবীদুর্গার প্রতিমা ছাড়াও শিব, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুরসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন তারা।
মণিরামপুর পৌরসভার জুড়ানপুর সার্বজনীন পুজা মন্দির কমিটির সভাপতি অমিত কুমার দাস বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষের পথে, ডেকোরেশন, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল সহ অন্যান্য কাজগুলোও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে। আশা করছি এবছর আরও সুন্দরভাবে দুর্গাপূজার উৎসব উদযাপন হবে।
আসন্ন শারদীয় উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় সনাতন ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। শাস্ত্রমতে, এবার দেবীদুর্গা ঘোটকে আগমন করে পালকিতে চড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন।
উল্লেখ্য যে,১৯ অক্টোবর মহা পঞ্চমী, ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী, ২১ অক্টোরর সপ্তমী, ২২ অক্টোবর অষ্টমী, ২৩ অক্টোবর নবমী ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে ৫ দিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।