

এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমধর্মী শুধুমাত্র পাবলিক ডোমেইনের আওতাভূক্ত সফটওয়্যারসমূহ। কপিরাইট আইনের আওতাধীন একটি সফটওয়্যারের লাইসেন্স, লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে এমন ধরণের অধিকার প্রদান করে যাতে সাধারণ ব্যবহারকারী সফটওয়্যারটির এক বা একাধিক কপি ব্যবহারের অনুমতি পায়, অন্যথায় এর ব্যতিক্রম হলে সফটওয়্যারের মালিকের গঠনকৃত স্বতন্ত্র অধিকারের কপিরাইট আইন ভঙ্গ করা হবে।
কপিরাইট আইনের অধীনে দুটি সাধারণ শ্রেণি হল মালিকানা সফটওয়্যার এবং ওপেন সোর্স ও বিনামূল্যের সফটওয়্যার, যাদের প্রত্যেকেই লাইসেন্সধারী ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট অধিকার প্রদান করে। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র ধারণাগত পার্থক্য হল ক্রেতার প্রাপ্ত সফটওয়্যারটির পরিবর্তন এবং পুনরায় ব্যবহারের অধিকার দেয়া: ওপেন সোর্স ও বিনামূল্যের সফটওয়্যার লাইসেন্স ক্রেতাকে সেই উভয় অধিকার প্রদান করে এবং সেই সাথে পরিবর্তনযোগ্য সোর্স কোড সফটওয়্যারটির (ওপেন সোর্স) সাথে সংযুক্ত করে দেয়, অন্যদিকে মালিকানা সফটওয়্যার সাধারণত ঐ ধরণের অধিকার দেয় না এবং সেইজন্য সোর্স কোডকে (ক্লোজড সোর্স) লুকিয়ে রাখে।
কপিরাইটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের অধিকার অর্জন এবং বিধিনিষেধ আরোপ ছাড়াও, সফটওয়্যার লাইসেন্সগুলোতে সাধারণত আইনের ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর মধ্যে দায় এবং দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া আছে। এন্টারপ্রাইজ এবং ব্যবসায়িক সফটওয়্যার প্রায়শই ঐ ধারা গুলোর পাশাপাশি দায়ের সীমাবদ্ধতা, নিশ্চয়তা এবং নিশ্চয়তার দাবিত্যাগ, অন্যের মেধাস্বত্ব অধিকার লঙ্ঘনজনিত ক্ষতিপূরণ অন্তর্ভুক্ত করে চুক্তিবদ্ধ করে থাকে।
কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষণের বাইরে লাইসেন্স না করা সফটওয়্যার, হয় পাবলিক ডোমেইন সফটওয়্যার (পিডি) অথবা অ-বিতরণযোগ্য, অ-অনুমতিপ্রাপ্ত লাইসেন্সের আওতাভূক্ত এবং তাদের অভ্যন্তরীণ গোপণ ব্যবসায়িক বাণিজ্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়। বিপরীত জনপ্রিয় ধারণা অনুযায়ী, বিতরণকৃত লাইসেন্সহীন সফটওয়্যার (পাবলিক ডোমেইনের আওতাভূক্ত নয়) সম্পূর্ণ কপিরাইট দ্বারা সংরক্ষিত এবং সেইজন্য আইনগতভাবে এটি অব্যবহারযোগ্য যতক্ষণ পর্যন্ত না কপিরাইট চুক্তির ফলে পাবলিক ডোমেইনের অধীনে চলে যায়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় অ-অনুমোদিত সফটওয়্যার ফাঁস অথবা সফটওয়্যার পরিকল্পনা যেটি গিটহাব জাতীয় পাবলিক সফটওয়্যার ভান্ডারে কোন নির্দিষ্ট লাইসেন্স ছাড়াই রাখা হয়।স্বেচ্ছায় পাবলিক ডোমেইনের আওতায় সফটওয়্যার হস্তান্তর করা, (কপিরাইট চুক্তির আওতায় আসার আগে) কিছু আন্তর্জাতিক ডোমেইন আইনের (যেমন জার্মানির আইনে) ক্ষেত্রে অনিশ্চিতা বহন করে, এছাড়াও লাইসেন্স প্রদানকারী পাবলিক ডোমেইনের মতো অধিকার রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ সিসিও(ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স) অথবা ডব্লিওটিএফপিএল।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া।

ডেইলি কলমকথার সকল নিউজ সবার আগে পেতে গুগল নিউজ ফিড ফলো করুন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।