রাজশাহীর বাঘায় শত অনুরোধের পরও পল্লী বিদু্ৎ এর লাইনম্যান ঘরে লাগানো মিটার ঘুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গৌচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার ( ৯ এপ্রিল) দুপুরে এই মিটার ঘুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মিটারের মালিক আবদুল জলিল। এ ঘটনায় পবিত্র রমজান মাসে অসহনীয় গরমে বেকায়দায় পড়েছে ভুক্তভোগী ওই পরিনার।

জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গৌচর গ্রামের আবদুল জলিল তার কাঁচা বাড়িতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে মিটার নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যানহার করে আসছিলেন। এরমধ্যে তিনি কিছু ইট কিনে আধাপাকা ঘর নির্মান করেন। কিন্ত কাঁচা ঘরে যে স্থানে মিটার লাগানো ছিল,পরে পাকা ঘরে ওই স্থানেই মিটার লাগিয়েছেন। তবে বিদ্যুৎ অফিসকে মিটারের বিষয়ে বাড়ির মালিক আবদুল জলিল অবগত করেননি বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আমার কোন বিলও বয়েকা নেই। এই গরমের মধ্যে থাকা কঠিন হবে মর্মে, লাইনম্যানকে অনুরোধ করেছি, তিনি বলেন, আমার কোন অপরাথ হলে আপনাদের অফিসে গিয়ে সেটা ব্যবস্থা করবো, এই গরমের মধ্যে মিটার গুলে নিলে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। তারপরও আমার অনুরোধ না শুনে মিটার ঘুলে নিয়ে গেছেন তারা। অফিসের অনেক নিয়ম আছে জানি, তবে গ্রাহক কোন ভূল করলে আগে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে দাবি করেন তিনি।

ভুক্তভোগী ব্যাক্তি বলেন,অফিসের পক্ষ থেকে কোন নোটিস না দিয়ে আড়ানী অভিযোগ কেন্দ্রের লাইনম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও আবদুর রাজ্জাক মিটার ঘুলে নিয়ে গেছেন।

আড়ানী অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ সামসুল হক বলেন, কোন গ্রাহক অপরাধ করলে তাৎক্ষনিক নাটোর পলস্নী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ব্যবস্থা নিবেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক মিটার ঘুলে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা জোনাল অফিসের ডিজিএম সুমির কুমার দত্ত বলেন, যেহেতু মিটার ঘুলে নিয়ে এসেছেন। নতুন করে আবেদন করলে সংযোগ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোমীনুল ইসলাম বলেন, সমিতির নিয়ম অনুযায়ী লাইনম্যান কাজটি করেছেন। তবে এখন আবেদন করলে নতুনভাবে সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।