নিয়ন্ত্রিত বোলিং, আঁটোসাঁটো ফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়েকে বড় স্কোর করতে দেয়নি বাংলাদেশ। সকালের আর্দ্রতা কাজে লাগিয়ে পেসাররা ভালো শুরু এনে দেন। মাঝে স্পিনাররা চেপে ধরেছিলেন ব্যাটসম্যানদের। বোলিংয়ে সেই ধার ছিল দীর্ঘক্ষণ। স্বাগতিকদের ভুল শট নির্বাচন, বড় ইনিংস খেলার তাড়না না থাকায় বাংলাদেশের সাফল্য এসেছে নিয়মিত বিরতিতে। তাতে লক্ষ্য নাগালে থেকেছে।

বোলাররা নিজেদের কাজ ঠিকঠাক মতো করেছে। এবার ব্যাটসম্যানদের পালা। হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিততে হলে বাংলাদেশকে ২৪১ রান করতে হবে। সিরিজ জয়ের মিশনে এ রান বড় হওয়ার কথা নয়। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ২৪০ রান করে। ব্যাটিংয়ে ওয়েসলি মাধেভেরে ছিলেন দুর্দান্ত। তরুণ ক্রিকেটার দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন একাদশে ফেরা সিকান্দার রাজা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭০ বলে ৬৩ রান যোগ করেন তারা। তাতে জিম্বাবুয়ে শেষ ওভারগুলোতে রান তুলতে পারে। তবে স্বাগতিকদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। ডানহাতি ব্যাটসম্যান বড় কিছু করতে আজ ব্যাটিং পজিশনে তিন থেকে চারে নামেন। নিজের পরিকল্পনামতো ব্যাটিংও করছিলেন। কিন্তু ৪৬ রানে হিট উইকেটে শেষ তার ইনিংস। শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে গিয়ে তার ব্যাট স্টাম্পে আঘাত করে। তাতে প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসের সমাপ্তি হয়।

এছাড়া মিডল অর্ডারে ডিয়ন মায়ার্স ৩৪ ও সিকান্দার ৩০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করেন। বল হাতে বাংলাদেশের সেরা শরিফুল ইসলাম। টেইলরের উইকেটে প্রাপ্তির খাতা খোলেন তিনি। এরপর শেষ দিকে মাধেভেরে, লুক জংউই ও মুজারাবানির উইকেট নেন। এর আগে তিনটি ওয়ানডে খেললেও কখনও ১ উইকেটের বেশি পাননি শরিফুল। এবার ৪৬ রানে তার শিকার ৪ জন। সাকিব ৪২ রানে ২টি এবং মিরাজ ও সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট পেয়েছেন। জিম্বাবুয়েতে এর আগে ২০০৯ ও ২০১১ সালে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ১০ বছর পর আরেকটি সিরিজ জয় হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে।