রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর মূল্য দিতে হচ্ছে ইউরোপীয় জনগণকে। এই অঞ্চলে গ্যাসের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়া ইউরোপে যাওয়ার প্রধান গ্যাস পাইপলাইনগুলির মধ্যে একটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার পর এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া থেকে কম গ্যাস প্রবাহের কারণে গত এক বছরে এই জ্বালানির দাম প্রায় ৪০০ শতাংশ বেড়েছে দাম। বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে জার্মানিতে যাওয়া নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ করা গ্যাসের প্রবাহ যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ৮০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছিল। গত সপ্তাহে রক্ষণাবেক্ষণের নামে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস পাঠানোর এই সরবরাহ লাইন পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। রাশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম শনিবার থেকে তা চালুর কথা বললেও পরে তা বাতিল করে দিয়েছে।
ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের আগ্রাসনের পাশপাশি ইউরোপের বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে মস্কো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং প্রযুক্তিগত সমস্যাকে সরবরাহ ব্যাহত করার জন্য দায়ী করেছে।
ক্রমবর্ধমান গ্যাসের দামের সাথে যুক্ত রেকর্ড বিদ্যুতের খরচ ইতোমধ্যে সার ও অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকে ব্যাহত করেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণকে সহযোগিতার জন্য ইউরোপীয় সরকারগুলোকে শত শত কোটি ডলারের সহায়তা প্রকল্প চালুর জন্য বাধ্য করেছে। সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য ইউরোপীয় সরকারগুলো এখন গ্যাসের বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।