‘বাংলাদেশের নায়করাজ হলেন রাজ্জাক। কিন্তু কলকাতায় এসে সেই নায়করাজ রাজ্জাকের নামে প্রবর্তিত সম্মাননা নিতে হচ্ছে। বাংলাদেশে তার নামে কোনো পুরস্কার চালু করা গেল না।’
কলকাতায় ‘নায়করাজ রাজ্জাক আজীবন সম্মাননা’ গ্রহণ করার আগে সাংবাদিকদের কাছে এভাবে নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ করেন নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়া জাগানো নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
নায়করাজ ‘রাজ্জাক’ নামাঙ্কিত আজীবন সম্মাননা পদক পেলেন অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। নিজের ক্যারিয়ারে প্রায় সাড়ে তিনশর বেশি সিনেমায় অভিনয় এবং সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আন্দোলনের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি এবার নায়করাজ ‘রাজ্জাক’ নামাঙ্কিত আজীবন সম্মাননা পদক পেয়ছেন। নিজের ক্যারিয়ারে প্রায় সাড়ে তিনশর বেশি সিনেমায় অভিনয় এবং সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আন্দোলনের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার এক পাঁচতারকা হোটেলে (ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল) ৭ম বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অব কমার্সে (বিএফটিসি) এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান হয়। তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র।
সম্মাননা পেয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই।
মানুষের কর্মের জন্যই আমরা।’ তার আক্ষেপ, নায়করাজ বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করে নায়করাজ হয়েছেন, অথচ তার নামাঙ্কিত কোনো পুরস্কার বাংলাদেশে চালু হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদের এটি ভাবা উচিত। তিনি আরও জানান, আমি এ বছর শিল্পী সমিতির সভাপতি হয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে আমাদের শিল্পীদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে, সেটি দূর করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।