মাঙ্কিপক্স; এ পর্যন্ত ১৪টি দেশে ৯২ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সে কারণে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব এমন সব দেশে ঘটছে যেখানে এ ভাইরাসটির স্বাভাবিক আবাসস্থল নয়। আর মাঙ্কিপক্সে যারা সংক্রমিত হচ্ছেন তাদের অনেকেই সমকামী বা উভকামী যুবক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মাঙ্কিপক্স রোগ মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। যাদের লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে এটি হচ্ছে। ডব্লিউএইচওর সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড হেম্যান জানিয়েছেন, এটি যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। এটা যৌনবাহিত রোগের মতোই সংক্রমিত হচ্ছে, যা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী।
যৌন ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে মাঙ্কিপক্স ছড়াচ্ছে। আর আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই যৌনাঙ্গ এবং তার আশপাশের জায়গায় গুটি হতে দেখা যাচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন সমকামী-উভকামী পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। এটা কি শুধুই ঘটনাচক্রে এমন হচ্ছে, নাকি যৌন আচরণের ফলে ভাইরাসটি সহজে ছড়াতে পারছে- তাও স্পষ্ট নয়। মাঙ্কিপক্স সংক্রমিত কারো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে সেটা অন্যের দেহে ছড়াতে পারে। ফাটা বা কাটা চামড়া, চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে মানুষের দেহে ঢুকতে পারে মাঙ্কিপক্স।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৪টি দেশে ৯২ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা মহামারীর মতোই এখন এই নতুন ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।