ঋণের সুদ মওকুফে ব্যাংক পরিচালকদের জন্যে সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই পরিচালকদের সুদ মওকুফ করতে পারবে। এতদিন এই সুদ মওকুফে বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হতো।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে। একইসাথে সুদ মওকুফের বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংকের সুদ মওকুফের শর্তও শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্র জানায়, সুদ মওকুফ সংক্রান্ত নীতিমালা অবলোপন করা ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে কি-না বিষয়টি স্পষ্ট করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতদিন সব খাতের ব্যাংকের আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করা যাবে না বলে নির্দেশনা ছিল। নতুন নির্দেশনায় বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন ব্যাংকের জন্য এ শর্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করতে পারবে না।
তহবিল ব্যয় আদায় সংক্রান্ত শর্ত কোন কোন ক্ষেত্রে শিথিল করা যেতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে- তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে এমন প্রকল্প, ঋণের জামানত, সহজামানত, প্রকল্প সম্পত্তি ও প্রকল্প উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ বিক্রি থেকেও তহবিল ব্যয় আদায় করা সম্ভবপর না হলে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরও পাওনা আদায় করা না গেলে এবং ঋণগ্রহীতার মৃত্যু অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদী ভাঙন বা দুর্দশাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা যৌক্তিক কারণে ঋণ পরিশোধে অপারগ হলে।
বর্ণিত এক বা একাধিক ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয় আদায়ের শর্ত শিথিল করার জন্য এর যৌক্তিকতা নিশ্চিতকরণে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে নিরীক্ষা করত হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের (এইচআইসিসি) মতামত গ্রহণ করতে হবে। বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করে ‘এক বা একাধিক’ এর জায়গায় ‘অপরিহার্য’ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।