বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহে কমতি নেই। আসছে আমদানিকৃত পেঁয়াজও। তারপরও রাজধানীর খুচরা বাজারে গত তিনদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে চাল ও ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বেড়েছে। এভাবে দফায় দফায় বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, শীত মৌসুমের শুরুতে বাজারে আসা মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ এখন শেষের দিকে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে শুরু হয় হালি পেঁয়াজের মৌসুম। কিন্তু পুরোদমে হালি পেঁয়াজের সরবরাহ এখনো শুরু হয়নি। ফলে দাম বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিউমার্কেটের পেঁয়াজ বিক্রেতা হেলাল বলেন, দেশি পেঁয়াজের কেজিতে ১০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরকারের বিপনন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) তাদের দৈনন্দিন বাজারদরের প্রতিবেদনে পেঁয়াজের দাম বাড়ার এ তথ্য তুলে ধরেছে।
এদিকে বাজারে চাল ও ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা বেড়েছে। কেজিতে ২ টাকা বেড়ে সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৬৪ থেকে ৭০ টাকা ও মাঝারিমানের চাল পাইজাম/লতা বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়। দাম বেড়েছে মোটা চাল ইরি/স্বর্ণারও। কেজিতে ১ টাকা বেড়ে খুচরাবাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়।
ভোজ্যতেলের দামও নতুন করে আবার বেড়েছে। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনে ১ টাকা বেড়ে ১১৬ থেকে ১২১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও সুপার পামঅয়েল ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা লিটার বিক্রি হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।