বর্তমানে মাঙ্কিপক্স বেশি ছড়িয়েছে ইউরোপের দেশ পর্তুগালে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গতকাল বুধবার সেখানে আরও ১৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ নিয়ে দেশটিতে মোট মাঙ্কিপক্স শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১১৯। কর্তৃপক্ষ বলছে, শনাক্ত হওয়া প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে মৃদু সংক্রমণ দেখা গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবাই পুরুষ এবং তাঁদের বয়স ৪০ বছরের নিচে।

করোনার না যেতেই বিশ্বজুড়ে আরেকটি মহামারি ছড়িয়ে পড়ছে। এ পর্যন্ত ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। এছাড়া শনাক্ত ও সন্দেহভাজন মিলিয়ে তিন শতাধিকের অধিক রোগী পাওয়া গেছে।

এরমধ্যে বেশির ভাগই ইউরোপ অঞ্চলের। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে তথ্য জানা গেছে। ঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়া দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল,

স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। মাঙ্কিপক্স পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোর একটি স্থানীয় রোগ।

যেটি এখন আফ্রিকার বাইরেও শনাক্ত হচ্ছে। আফ্রিকার বাইরে গত মার্চে ইউরোপে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। ইউরোপের মধ্যে বর্তমানে পর্তুগালে বেশি ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স।

মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে উচ্চমাত্রায় জ্বর, লসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও গুটিবসন্তের মতো র‌্যাশ।

মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি, তবে গুটিবসন্ত রোধে যে টিকা ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেগুলো মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।