প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার রায় মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপের পক্ষে দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১ জুন) ভার্জিনিয়ার সাত জুরির এই আদালত তাদের সিদ্ধান্তে বলেছেন, মানহানির ক্ষতিপূরণ বাবদ ডেপকে ১ কোটি ৩ লাখ ডলার দিতে হবে হার্ডকে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে এ মামলার রায় অ্যাম্বার হার্ডের পক্ষেও গিয়েছে। আদালত বলেছেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে হার্ড পাবেন ২০ লাখ ডলার।
প্রাক্তন এই তারকা দম্পতির দুই বছরের দাম্পত্য জীবন কতটা তিক্ততার জন্ম দিয়েছিল, তার বিশদ বিবরণ পুরো বিশ্বের সামনে উঠে এসেছে এই মামলার ছয় সপ্তাহের শুনানিতে। ৩৬ বছর বয়সী ‘অ্যাকুয়াম্যান’খ্যাত তারকা অ্যাম্বার হার্ড মামলার শুনানিতে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘আমাকে জনি ডেপের ‘শারীরিক নির্যাতন’ সইতে হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে হয়রানির শিকার হয়েছি, নিগৃহের শিকার হয়েছি, হুমকির মুখে পড়েছি।’’
যেখানে বলা হয় ২০১৩ সাল থেকে পরের তিন বছরে অন্তত ১৪বার জনি ডেপ তার স্ত্রীকে হিংস্রভাবে আক্রমণ করেন।তবে ৫৭ বছর বয়সি এই অভিনেতা সব অভিযোগ পরিহার করে বলেন, “এগুলো সবই বানোয়াট। মিজ হার্ড মিথ্যা বলছেন। এটা তার ‘ইন্সুরেন্স পলিসি’র একটা অংশ হিসেবে চালাকি করে মিথ্যা ঘটনা সাজাচ্ছেন।”
জনি ডেপ আদালতে অভিযোগ করেন, মিজ হার্ড তাকে বোকা ভাবে তার বন্ধুদের সামনে উপস্থাপন করতো। এমনি একদিন বিছানায় শুয়ে বই পড়ার সময় হার্ড তাকে সজোরে ঘুষিও মারেন।অন্যদিকে ৫৮ বছর বয়সী ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারাবিয়ান’খ্যাত তারকা জনি ডেপ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে দাবি করেন, তিনি কখনো অ্যাম্বার হার্ড বা কোনো নারীকে আঘাত করেননি বরং তার সাবেক স্ত্রীই তাদের সম্পর্কের অনৈতিক সুযোগ নিয়েছে।
২০১৫ সালে ঘর বেঁধেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড ও জনি ডেপ। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক কলামে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেন অ্যাম্বার হার্ড। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। আর ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।