কেশবপুরে দোরমুটিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বসত ঘরের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৮’লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। গত ১জুন (বুধবার) রাতে উপজেলার কতিয়াখালি গ্রামে ওই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। চুরির ঘটনায় বাড়ির মালিক শিক্ষক পবিত্র গোলদার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি গ্রামের মৃত চৈতান্য গোলদারের ছেলে পবিত্র গোলদার (৫৫) ও তার স্ত্রী বাসনা মন্ডল (৪৫) বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া করার পর বাড়ির গ্রেট ও দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন। বাড়িতে আর কেউ ছিলোনা। ওই রাতে চোরেরা তাদের বাড়িতে ঢুকে ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারি এবং বাক্স ভেঙ্গে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ ভরি রুপার গহণা এবং নগদ ২’হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। ভোররাতে ঘুম ভেঙে গেলে তারা দেখতে পায় ঘরের মধ্যে সবকিছুই এলোমেলো এবং আলমারি ও বাক্স দুটো ভাঙা। ওই সময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে আসে। তারপর স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে পবিত্র গোলদার এর স্ত্রী বাসনা মন্ডল বলেন, বুধবার সকালে খাওয়া দাওয়া পর থেকেই আমাদের খুবই ঘুম পাচ্ছিলো। হয়তো কে-বা কারা আমাদের ঘরের জানালা দিয়ে চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে করে দিতে পারে। কারা করতে পারে আমরা সেটিও জানি না। তবে বিষয়টি পরিকল্পিত হতে পারে। তাদের বাড়িতে এর আগে কখনো চুরির ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর নিকট জানতে চাইলে অনেকই বলেন, এলাকার উঠতি বয়সের যুবক ছেলেরা মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়েছে।পরিকল্পিতভাবে চুরির ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছি। সপ্তাহ খানিক আগেও ওই গ্রামের পার্শবর্তী মাদারডাঙ্গা গ্রামের সুধীর দাস হরফে মাধই এর বাড়ির দরজার গ্রিল কেটে সোনার গহনা ও নগত টাকা চুরি করে অজ্ঞাতনামা চোরেরা।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, বাড়িতে চুরি হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।