নড়াইলের বড়দিয়া খেয়া ঘাট এলাকায় কাশেম সরদার (৩৫) নামে এক যুবককে নারীসহ আটক করেছে স্থাণীয় জনতা। ৭ জুন (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে খেয়া থেকে বড়দিয়া ঘাটে নামার পরে ওই নারীর সাথে তার অসংলগ্ন কথাবার্তা হলে স্থাণীয়দের সন্দেহ হয়।
অতঃপর তাকে আটক করলে জনতার ভিড় বেড়ে যাওয়ায় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে হেফাজতে নিতে গেলে কৌশলে কাশেম সরদার একজনকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা মেরে আহত করে ওই নারীকে রেখে পালিয়ে যায়। কাশেম সরদার লোহাগড়া পৌরসভার সিংগা গ্রামের মৃত হেমায়েত সরদারের ছেলে।
ওই নারী জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিছু দিন আগে রং নাম্বারে কাশেমের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্টতা তৈরী হয়।
এরই জের ধরে তাকে গোপালগঞ্জ ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে কালিয়ার পানিপাড়া ইকোপার্কে নিয়ে যেতে চাইলে সে আপত্তি করলে স্থাণীয়রা বিষয়টি জেনে যাওয়ায় তাদের আটক করে।
এঘটনায় কাশেমের নানা একই গ্রামের হান্নান মাষ্টার ও তার মামা আনোয়ারের সাথে তাদের মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান, কাশেম ছোট বেলা থেকে মামা বাড়িতেই মানুষ হয়েছে। এসময় তারা কাশেমকে অকথ্য ভাষা উল্লেখ করে বলেন তার নামে অনেক রিপোর্ট শুনেছি।
আমাদের ভিটায় তাকে আর রাখবো না। পরিশেষে বড়দিয়া ঘাটে নারীসহ আটকের বিষয়টি তারা নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করে নিজেদের গুনকির্ত্তন গাইতে শুরু করেন।
কাশেমের শশুর ওই একই গ্রামের নজরুল ইসলাম ফোনে জানান, প্রায় ৪ বছর আগে তার মেয়েকে কাশেম বিবাহ করে।
কিন্তু অন্য নারীতে আসক্ত ও জুয়া খেলার কারণে তার মামা ও নানার কাছে বার বার বিষয়টি বললেও তারা সমাধান দিতে পারেনি। আমার মেয়েকে ওর ঘরে না রাখার সিদ্ধান্ত নিলে কাশেম কৌশলে ব্লাকমেইল করে বাচ্চা নিয়ে নেয়।
বর্তমানে তাদের ৮ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তার নামে এলাকায় এ ধরণের অনেক অপবাদ রয়েছে অহরহ।
পার্শ্ববর্তী তেলকাড়া, মহাজন, বড়দিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তার রয়েছে জুয়ারীদের সাথে ওঠাবসা। কয়েকবার পুলিশি অভিযানে সুচতুর কাশেম পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া সুদে কারবারীর সাথে সে যুক্ত রয়েছে বহদিন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।