তামিম সরকারঃ পৃথিবীর ইতিহাসে মানব সভ্যতা যখনই নৈতিকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে,তখনই আগমন ঘটেছে একে একে সকল মহামানবদের।
তারই ধারাবাহিকতায় সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরতম “আয়ামে জাহেলিয়া” বা অন্ধকার যুগে মুক্তির আলো নিয়ে এসেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা যাকে সৃষ্টি জগতের রহমত বলে ঘোষণা দিয়েছেন এবং তিনি তার রাসূলকে এমনসব গুনে গুণান্বিত করেছিলেন যে অল্প বয়সেই তিনি তৎকালিন আরবদের নিকট প্রিয় ও বিশ্বস্ত হয়ে “আল-আমীন” উপাধি পেয়েছিলেন৷ ইসলাম প্রচারের বাঁধা হিসেবে যখন পৌত্তলিক আরবরা তাকে নানা ভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি পাগল বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন,
তখনো তারা রাসূল(সাঃ) এর চরিত্রে কোন কালিমা লেপন করতে পারেন নি। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলিম যার অনুসারী। তবে অতি সম্প্রতি একটি টিভি-টকশোতে ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নুপুর শর্মা এবং দলটির দিল্লির মিডিয়া ইউনিটের প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে।
বাবরি মসজিদ থেকে শুরু করে সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদ সহ নানা ইস্যুতে ক্ষমতাসীন দলটির একাধিক নেতাকর্মীর বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দেশটির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট সহ একটি দাঙ্গা অবস্থার সৃষ্টি করছে।
রাসূল (সাঃ)অবমাননার প্রতিবাদে এবার ফুঁসে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরবসহ গোটা বিশ্ব। বানিজ্য ও নৈতিকভাবে তারা ভারত বয়কটের আহ্বান জানাচ্ছেন।
ধর্মপ্রাণ বাঙালিও তাদের সাধ্যমতো বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরাও এ প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমি উক্ত রাজনৈতিক দলটির এই সাম্প্রদায়িক চেতনা পরিহার করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই।
একইসাথে মুসলিম ভাই-বোনদের রাসূল(সাঃ) এর সূন্নাহ অনুযায়ী জীবন সাজিয়ে বিশ্বব্যাপি তার আদর্শকে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।