হজের খুতবা চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো অনুবাদ ও সম্প্রচার করা হবে বাংলাসহ ১০টি ভাষায়। সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচারের সময় এই ধর্মীয় বক্তব্যটি ১০ কোটির বেশি শ্রোতা নিজেদের ভাষায় শুনবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থানরত হাজিদের উদ্দেশে পাঠ করা খুতবা বিভিন্ন ভাষাভাষীর মুসলিম উম্মাহর কাছে বোধগম্য করে পৌঁছে দিতে ২০২০ সালে সৌদি আরব সরকার এ বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। কোন ১০টি ভাষায় এবার খুতবা সম্প্রচার হবে তা হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।
হজসংক্রান্ত সৌদি আরবের সরকারি ওয়েবসাইট হারামাইন শরিফাইনে দেয়া বার্তায় রোববার এমন ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। দুই পবিত্র মসজিদ- মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী পরিচালনা পরিষদ এবং মসজিদ দুটির খাদেম নিয়ন্ত্রিত হারামাইন শরিফাইন ও আরাফার খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছর (৯ জুলাই) খুতবা এই ১০টি ভাষায় সরাসরি (লাইভ) সম্প্রচার করা হবে।
এ বছর বাংলাসহ অন্য যে ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা তা হলো- ইংরেজি, বাহাসা মেলায়ইউ, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেন্স, চায়নিজ, তুর্কি, রাশিয়ান ও হাউসা। আরব নিউজের প্রতিবেদন মতে, করোনাকালীন ২০২১ সালে ধর্মীয় বক্তৃতাটি আরবির পাশাপাশি ইংরেজি, ফ্রেন্স, ইন্দোনেশিয়ান, উর্দু, ফার্সি, চায়নিজ, তুর্কি, বাংলা, হাউসা এবং মালয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
২০২০ সালের হজে বাংলা ছাড়াও ৯টি ভাষায় হজের খুতবা সম্প্রচার করা হয়। ভাষাগুলো হচ্ছে ইংরেজি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, ফরাসি, ম্যান্ডারিন, তুর্কি, রাশিয়ান ও আবিসিনিয়ান। আরাফাতের দিন, সংস্কৃতি ও ভাষার ভিন্নতাকে উপেক্ষা করে হাজিরা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি ও তার নৈকট্য লাভের জন্য একত্রিত হন বিস্তৃত এই ময়দানে এবং গভীর মনোযোগ ও আবেগ নিয়ে খুতবা শুনে থাকেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।