ফুটবল খেলায় রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো নতুন কিছু নয়। খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয় দর্শকরাও।
কিন্তু তাই বলে রেফারিকে পিটিয়ে একদম মেরে ফেলার ঘটনা কখনো শুনেছেন?
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে এল সালভাদোরের ঘরোয়া ফুটবলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে রাজধানী সান সালভাদোরের তলুসা স্টেডিয়ামে অ্যামেচার লিগের এক ম্যাচে রেফারি হোসে আর্নোলদো আমায়া ম্যাচের একটি দল ও তাদের সমর্থকদের দ্বারা প্রহৃত হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন।
এল সালভাদোরের ফুটবল ফেডারেশন আরও জানিয়েছে, এ ধরনের সহিংস কার্যক্রমকে কিছুতেই সমর্থন করে না তারা। পাশাপাশি তাদের বিবৃতিতে আমায়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্লাবের পক্ষ থেকে এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হুগো কারিয়ো।
সান সালভাদোরের কাছে অবস্থিত মিরামন্তেতে ওই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আমায়া। ঘটনার সূত্রপাত হলুদ কার্ড দেখানো নিয়ে। এক খেলোয়াড়কে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। সিদ্ধান্ত না মানতে পেরে তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই খেলোয়াড়। এরপর সেই তর্ক গড়ায় হাতাহাতিতে। ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে তার সতীর্থরাও তাতে যোগ দেন। কিন্তু ঘটনা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে যখন তাতে দর্শকরাও জড়িয়ে যান।
ক্রমাগত আঘাতে আমায়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও থামেনি উন্মত্ত দর্শকরা। একসময় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আমায়া। পরে তাকে উদ্ধার করে শহরের জাকামিল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
রেফারি হিসেবে ২০ বছরের ক্যারিয়ার ছিল আমায়ার। এল সালভেদোরের ফুটবল রেফারিদের জাতীয় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন তিনি। মূলত অ্যামেচার লিগ ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করতেন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।