তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে । ঘর বাড়িতে পানি উঠায় নদী আশপাশের মানুষগুলো বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছে। তাই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধার দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পানি বিপদসীমার কাছাকাছি এবং বিকেল ৩টায় বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। তবে রাত ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতে পানি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পাশাপাশি জেলার অন্যান্য নদী ও ডোবায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ক্রমেই বাড়ছে দুর্ভোগ।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ কালমাটির মোছাঃ আখলেতুন্নাহার জানান, নদীর পানি গতকাল থেকে হু হু করে বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কয়েকদিন থেকে রাতে ঘুম আসছে না এলাকার মানুষের। কখন কি হয় সে চিন্তাই এখন মূল ভয়।
নির্ঘুম রাত কাটানো ঐ এলাকার অনেকেই বলেন, পানি বৃদ্ধি পেলে আমরা যেখানে আশ্রয় নেই এরই মধ্যে সেই স্কুলের মাঠেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এদিকে বন্যাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
দেশ-বিদেশের সকল খবর সবার আগে পেতে কলম কথা এর ইউটিউব চ্যানেল এ সাবস্ক্রাইব করুন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।