নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিসহ নানা দাবি নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে বিক্ষোভ করছেন রোহিঙ্গারা। রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, লম্বাশিয়া, টেকনাফের শালবাগান, নয়াপাডা, লেদাসহ ৩৪টি ক্যাম্পে একযোগে বিক্ষাভ শুরু হয়।
মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। ‘ব্যাক টু হোম’ স্লোগানে এই বিক্ষোভে লাখো রোহিঙ্গা অংশগ্রহণ করেছেন। এ সময় বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ১৯ দফা দাবি তুলে ধরেছেন রোহিঙ্গা নেতারা। এসব দাবি বাস্তবায়ন করা হলে মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে নিরাপদভাবে বসবাস করতে পারবেন বলে মনে করছেন রোহিঙ্গারা।
আরো পড়ুন:চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার
দাবিগুলো হলো— রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন হতে হবে, সীমিত সময় রাখা যাবে মিয়ানমার ট্রানজিট ক্যাম্পে, প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে হবে, প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে হবে গ্রামে গ্রামে, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জঘন্য নৃশংসতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা নির্যাতিত হয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে বিতাড়িত হয়েছিল, যা ইতিহাসে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশত্যাগ হিসেবে বিবেচিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।