মোঃ ছামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ১০ নং ঝাউগড়া ইউনিয়নে পশ্চিম শেখ সাদী গ্রামে মৃত চাঁন মিয়ার নেশাগ্রস্ত ছেলে শামীমের নেশায় আসক্তি হয়ে মাদব দ্রব্য কেনা- বেচা ও গরু ছাগল,
টাকা পয়সা এবং ঘর চোরের উতপাত বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ট ও আতঙ্কিত। কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান- শামীম এমন কোন কাজ নেই যে সে করেনা।
যখন নেশার কেনা – বেচার টাকা হাতে না থাকে তখনি যেটা পাবে সেটাই চুরি করতে শুরু করবে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্তা ব্যক্তিরা জানান- শামীমের সাথে আমরা আচার- বিচারে পারিনা।
সে কোন সময় কার কি করে ফেলে বলা যায়না। তার চাচা ফজল মেম্বারকে বিচার দিলে ফজল মেম্বার দেখছি দেখছি বলে কাটিয়ে যায় ফলের শামীমের প্রভাব আরও বাড়তে থাকে।
গত বুধবার ১৫/৬/২২ তারিখে একই এলাকার অসহায় কালুর ঘরে ঢুকে প্রায়- ১০/১২ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে উধাও। এভাবে এলাকার ডজনে ডজনে মানুষের ছাগল,গরু গাছের ফল,টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থেকে টাকা শেষ হলে আবার এলাকায় আত্মপ্রকাশ করে কোন মেম্বার সমাজপতিরা তার বিচার করতে পারেনা সবাই বলে ওর অনেক হাত লম্বা।
শামীমের লাগামহীন চুরি,মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসার কারণে নতুন
নতুন ছেলেরা মাদকাসক্তি হচ্ছে।আর মাদকের টাকা জোগান দিতে চুরির মতো ঘৃণ্য পেশা ও পথ বেছে নিচ্ছে।
এখন যদি একে আইনের আওতায় না আনা হয় তবে এলাকা,সমাজ ও ইউনিয়নের সুনাম নষ্ট করে অপরাধ জগতের অভয়ারণ্য বানাবে সুশীল সমাজের লোকজন,সাধারন মানুষের বেচে থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে তার চাচা সাবেক ফজল মেম্বার সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।